প্রতীকী চিত্র।
মহিলা মোর্চার এক নেত্রীকে রানাঘাটে দলের দফতরেই ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিজেপি বেশ কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে। কারণ, ইতিমধ্যে ভোটের মরসুমে এর রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে
সিপিএম এবং তৃণমূল।
এমনিতেই রানাঘাটে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছে বিজেপি। জগন্নাথ সরকার প্রার্থী হলেও দলের অন্দরে তা নিয়ে অনেকেরই যে অসন্তোষ রয়েছে তাও চাপা থাকেনি। তার মধ্যে আবার গেরুয়া শিবিরে এই নতুন সঙ্কট। উপরন্তু অভিযুক্ত রাখালরঞ্জন সাহা আবার জগন্নাথ সরকারের বিশেষ ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।
বুধবার সন্ধ্যায় রানাঘাট শহরে তৃণমূলের তরফে ২০টি ওয়ার্ড থেকে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে। সেখানে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পদযাত্রা শেষে তৃণমূল কর্মীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ করেন ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তি চেয়ে। রানাঘাটের পুরপ্রধান পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও মহিলাকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠলে তখন তা আর কোনও একটি দলের মধ্যেকার ব্যাপার থাকে না। আমাদের কর্মীরা এই ঘটনারই প্রতিবাদ করেছেন।’’ এই ঘটনায় মাঠে নেমেছে সিপিএমও। বুধবারই রানাঘাটে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি একটি মিছিল করে। সেখানেও দোষীর শাস্তির দাবি তোলা হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই ঘটনা বিভিন্ন সোস্যাল সাইটে পোস্ট করে অন্য দলগুলি প্রচার শুরু করেছে। এ ব্যাপারে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “ওঁরা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। তবে তা সফল হবে না। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁকে দলের দফতরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নেবে।”
অভিযুক্ত রাখালরঞ্জন সাহা বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার অফিস সম্পাদক। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি। বিজেপি সূত্রের দাবি, কয়েক মাস আগে পায়রাডাঙায় দলীয় কার্যালয়ে পঞ্চায়েতের ফল নিয়ে আলোচনা চলছিল। বিজেপির দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি জগন্নাথ সরকার ও পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
তার মধ্যেই তৎকালীন সহ-সভাপতি, রানাঘাট শহরের ওষুধ ব্যবসায়ী রাখাল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানবেন্দ্রনাথ রায়কে জুতো নিয়ে তাড়া করেন বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy