ফল প্রকাশের পরে: ভাবতায়। নিজস্ব চিত্র
মাদ্রাসা মানেই মুসলিমদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পুরনো এই ধারণা ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। গত বছর রাজ্যে যেখানে ৩৪৮৮ জন ভিন্ ধর্মের পড়ুয়া মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। এ বছর সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৫৪ জন। বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পরে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে মাদ্রাসা পরীক্ষায় সার্বিক পাশের হার ৮৩.০২। সেখানে ৭৩.২৭ শতাংশ ভিন্ ধর্মের পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের হিসেব বলছে, এ বারে ৪৫৯৫০ জন মাদ্রাসা পরীক্ষায় বসেছিল। তার মধ্যে ৬২৫৪ জন ভিন্ ধর্মের পরীক্ষার্থী। এ বারে ৩৫৫৬ জন ভিন্ ধর্মের (সাধারণ) পরীক্ষার্থী মাদ্রাসা পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে পাশ করেছে ২৭৩৩ জন। তফসিলি জাতির পরীক্ষার্থী ছিল ৯৬৪ জন। পাশ করেছে ৬৮৪ জন। ৩১৬ জন তফসিলি উপজাতি পরীক্ষার্থী ছিল। পাশ করেছে ১৮৫ জন। ১৪১৮ জন ওবিসি পড়ুয়া মাদ্রাসা পরীক্ষায় বসেছিল। পাশ করেছে ১১৩০ জন।
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী বিশ্বাস দে বলছেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চশিক্ষা সংসদ এবং মাদ্রাসার সিলেবাসে বিশেষ পার্থক্য নেই। মাদ্রাসায় অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে একটি আরবি ও ইসলাম পরিচয় নামে দু’টি বিষয় পড়ানো হয়। এ ছাড়া মাদ্রাসায় পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। পরিকাঠামোও ভাল। ফলে অন্য বিদ্যালয়ের তুলনায় মাদ্রাসার পরিকাঠামোর খুব একটা তফাৎ নেই।’’
মুর্শিদাবাদের লালগোলার আইসিআর হাই মাদ্রাসা থেকে সুমি সরকার ৭৩৮ নম্বর পেয়ে তার মাদ্রাসায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ইসলাম পরিচয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে সুমি পেয়েছে ৯৪। ইসলাম পরিচয়ে মূলত কোরান, হাদিসের বিষয় রয়েছে। ভিন্ ধর্মের মেয়ে ৯৪ নম্বর পেয়ে স্কুলে তাক লাগিয়েছে। অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে নেওয়া আরবিতেও সুমি পেয়েছে ৫০ নম্বর।
সুমির কথায়, ‘‘পঞ্চম শ্রেণি থেকে এই মাদ্রাসায় পড়ছি। আরবি, ইসলাম পরিচয় প্রথম দিকে পড়তে কিছুটা অসুবিধা হত। পরে অবশ্য শিক্ষকেরা ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তার পরে আর কোনও অসুবিধা হয়নি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সুমির বাবা কুশধ্বজ সরকার বলেন, ‘‘সুমিকে নিয়ে আমার চার মেয়ে এই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক পাশ করল। এখানে পড়াশোনা ভাল হয় বলেই মেয়েদের এখানে পড়তে পাঠিয়েছে।’’ তিনি বলছেন, ‘‘ইংরজি, উর্দু, সংস্কৃতের মতো আরবিও একটি ভাষা। মাদ্রাসায় পড়াশোনার ফলে মেয়ে তো নতুন একটি ভাষা শেখার সুযোগ পেয়েছে।’’
লালগোলার আইসিআর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আব্দুর রউফ সিদ্দিকি বলেন, “আমাদের মাদ্রাসার পড়ুয়ারা বরাবরই ভাল ফল করে। মুসলিমদের পাশাপাশি অনেক ভিন্ ধর্মের ছেলেমেয়ে এখান থেকে পড়াশোনা করে ভাল ফল করেছে। এ বারেও সুমি সরকার নামে এক পড়ুয়া আমাদের মাদ্রাসায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। আমাদের মাদ্রাসায় এই মুহূর্তে হাজার চারেক পড়ুয়া রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৪ শতাংশ ভিন্ ধর্মের ছেলেমেয়ে।
রঘুনাথগঞ্জের নাইত সামসেরিয়া হাই মাদ্রাসার ৪০ শতাংশ পড়ুয়া ভিন্ ধর্মের। ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলছেন, ‘‘আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় ৬০০ পড়ুয়া রয়েছে। স্কুলের পরিকাঠামো ও পড়াশোনা ভাল হয়। ফলে সব
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy