নিজস্ব চিত্র
মান-অভিমানের পালা কাটিয়ে ফের তৃণমূলে ফিরলেন মন্টু ঘোষ।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মন্টুবাবু তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি ছিলেন। সত্যজিৎ বিশ্বাস ও দুলাল বিশ্বাসদের দাপটে একটা সময় দলে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েন বলে দলীয় সূত্রের খবর। তাঁকে পদ থেকে সরে যেতে হয়। লোকসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। শঙ্কর সিংহ তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকে তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকেন।
শেষ পর্যন্ত শুক্রবার হাঁসখালিতে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহের উপস্থিতিতে অনুগামীদের নিয়েই মন্টুবাবু বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তিনি বলেন, “এ বার দলটা গুছিয়ে করতে হবে। লোকসভার ফল উল্টে যাবে বিধানসভা ভোটে।”
সম্প্রতি হাঁসখালি ব্লক অফিসের পাশের মাঠে সভা করে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই মাঠেই এ দিন সভা করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে প্রধানত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। মূলত তাঁদের উদ্দেশ্য করেই রাজীব এ দিন বলেন, “বিজেপি আপনাদের প্রতারিত করছে। আপনারা চেয়েছিলেন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব। কিন্তু বিজেপি আপনাদের উদ্বাস্তু করে ছাড়ছে। আপনাদের ভোটার কার্ড আছে। আধার কার্ড আছে। প্যানকার্ড আছে। অথচ, নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাদ গেলে আপনাদের নিজেকে বাংলাদেশি বলে ঘোষণা করতে হবে। পাঁচ বছর কোনও নাগরিকত্ব থাকবে না।” হাঁসখালির সভা শেষে শান্তিপুরে একাধিক কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান অজয় দে ও বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁদের সম্পর্কের তিক্ততা সর্বজনবিদিত। এ দিনও প্রকাশ্যে তাঁদের সে ভাবে কথা বলতে দেখা যায়নি, তবে বক্তৃতা দেওয়ার সময় দু’জনেই দু’জনকে সম্বোধন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy