প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল তা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা ধরনের সংস্কার।
যেমন বেলডাঙা কামারপাড়া এলাকার এক শ্রমিক মধ্যপ্রদেশ থেকে ১৫ দিন আগে ফিরেছেন। চার দিন ধরে বাসে করে ফিরেছেন। তার পর নানা সমস্যা তৈরি হয়। প্রথমেই বলা হয়, তিনি করোনা পজ়িটিভ। তার বাড়ির সকলেই যেন অস্পৃশ্য। গ্রামের অনেকে ওই পরিবারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। বাড়ির সামনে দিয়ে কেউ যেতে চাইছিলেন না। তার পর রটে যায়, তাঁর ১০৪ জ্বর কোনও ভাবেই নামছে না। পরিচিতরা সেই নিয়ে আতঙ্কে রাত কাটাতে শুরু করে। তাকে নিয়ে নানা কটু মন্তব্য শুরু হয়। তাকে সিঁড়ির নীচে একটা খুপরিতে থাকতে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই খুব কষ্টে ১৪ দিন কাটানোর পরে তাঁকে ‘শুদ্ধ’ করতে বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গঙ্গায় স্নান করানো হয়েছে।
বেলডাঙার চৈতন্যপুর এলাকায় ঘটছে একই ঘটনা। সেই শ্রমিকের বাড়ি গোবর জল দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। ২০ কিলোমিটার দূরের গঙ্গায় স্নান করানো হয়েছে তাঁকেও।
তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বাইরের রাজ্যের শ্রমিকরা লালারস পরীক্ষা করছে। তাদের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে নেগেটিভ-ই। তাতেও প্রতিবেশীদের কাছে একরকম যেন ব্রাত্যও হয়ে রয়েছেন তাঁরা।
বেলডাঙা ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সলেমান মণ্ডল বলেন, “যারা ভিন্ রাজ্য থেকে আসছেন, তাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাঁরা সমাজে অস্পৃশ্য নন। এমন করলে তো আমাদের মতো যাঁরা চিকিৎসা করেন, তাঁদেরও অস্পৃশ্য বলে ধরা উচিত। কারণ আমরা তো শ্রমিকদের লালারস গ্রহণ করছি। আমাদেরও করোনাভাইরাস আক্রমনণ করতে পারে। মিছিমিছি আতঙ্কের কোনও ভিত্তি নেই।”
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই পরিস্থিতি কাটাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। তবেই ভয়টা কাটবে। সে কাজে সবাই এগিয়ে আসুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy