কর্মীদের ভিড়ে রাজীব। নিজস্ব চিত্র
দলে ভাঙন নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে দলত্যাগীদের কার্যত ক্ষমতালোভী বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কৃষ্ণনগরে এসে তিনি বলেন, “আমাদের দলের সম্পদ জানবেন কর্মীরা। যাঁরা চলে যাচ্ছেন তাঁরা আমাদের দলের সম্পদ নন। তাঁরা ক্ষমতালোভী। তাঁরা আজ এ দলে আছেন, কাল ও দলে আছেন। আবার সুযোগ বুঝে অন্য কোনও দলে যাবেন।’’
এ দিন বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে দলবদলের প্রসঙ্গ নিয়ে নাম না করেই বিজেপিকে বিঁধেছেন রাজীব। পদ্ম শিবিরকে অপরের উচ্ছিষ্টভোগী বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “ওঁরা অপরের উচ্ছিষ্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। অন্য দল থেকে কারা ছেড়ে বেরোবেন, সেই দলছুটদের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। ওই দল কখনও একটা রাজনৈতিক দল হতে পারে না।” এ দিনের বৈঠকে সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি অন্য বার্তাও দেন দলীয় পর্যবেক্ষক। তিনি বলেন, ‘‘দলের নাম করে উপার্জন করতে দেব না।’’ এ দিনের বৈঠকে জেলায় সংগঠন ভাগ করে দুজন জেলা সভাপতি রাখা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খান। অন্য জেলায় একজন করে সভাপতি থাকলেও নদিয়ায় কেন দুজন সভাপতি করা হল তা জানতে চান তিনি। এ দিনের বৈঠকে নদিয়ায় একটি আসনে হারের জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কল্লোল। দ্রুত দুই জেলা কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়ে যান রাজীব। পাশাপাশি হাঁসখালি এবং কৃষ্ণগঞ্জে আগামী সপ্তাহেই দলীয় বৈঠক ডাকা হবে বলে জানানো হয়েছে। দিন কয়েক আগেই বিধায়ক শঙ্কর সিংহকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে পোস্টার পড়েছিল ট্রেনে। এ দিন শঙ্কর বলেন, “আমি যখন যে দল করি তা সঠিক ভাবেই করি। এক দিন অনেক লড়াই করে এসেছি। লড়াই করতে জানি।”
স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে এ দিনের বৈঠকে ছিলেন না কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান। অসুস্থ থাকায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ এবং কৃষ্ণনগর সাংঠনিক জেলার সভাপতি মহুয়া মৈত্র ছিলেন না বলে দলীয় সূত্রের খবর। রানাঘাটের পুরপ্রধানের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে জানানো হয়নি বলে তিনি যাননি। তবে দলীয় নেতৃত্বের দাবি, বৈঠকের কথা সকলকেই
জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy