Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘আমার মেয়েটাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনই’

৯ নভেম্বর, ভাইফোঁটার দিন অগ্নিদগ্ধ হন অনুরাধা। ১৪ নভেম্বর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। 

অনুরাধা সাহা ভট্ট। —নিজস্ব চিত্র।

অনুরাধা সাহা ভট্ট। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০৮
Share: Save:

ব্যাঙ্ককর্মী ও বহরমপুরের বাসিন্দা অনুরাধা সাহা ভট্টর মৃত্যুতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যে অনুরাধার স্বামী ও শ্বশুরকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অনুরাধার ভাসুর ও তাঁর স্ত্রীর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। ৯ নভেম্বর, ভাইফোঁটার দিন অগ্নিদগ্ধ হন অনুরাধা। ১৪ নভেম্বর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

অনুরাধার মা অনিতা সাহার অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়েকে নির্যাতন করত তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে ওরাই।’’ অনুরাধার পাঁচ মাসের শিশুসন্তানকে এখন নিজের কাছেই রেখেছেন অনিতাদেবী।

অনুরাধার মৃত্যুর পরে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে হাজার হাজার মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেন। অনুরাধার বন্ধু-পরিচিত ও বহরমপুরের লোকজন এই ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিলও করেন। অনুরাধার খুনের বিচার চেয়ে ‘জাস্টিস ফর অনুরাধা’ ও ‘নারীকথা’ নামে দু’টি পেজ খোলা হয়েছে ফেসবুকে।

আরও পড়ুন: বিজেপির ‘বিপদ’ বোঝাতে কন্যাশ্রীদের ডাক মমতার

সেখানে রীতিমতো সরব নেটিজেনরা। তাঁরা কেউ লিখছেন, ‘এখনও দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হল না। ওরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ও অপরাধীরা শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবেই।’ বহরমপুরের বাসিন্দাদের ‘এই লড়াইয়ে পাশের থাকার জন্য’ ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনুরাধার কলকাতাবাসী এক বন্ধু।

আরও পড়ুন: দেখভাল না হলেই বিপদের আশঙ্কা গিজারে

বহরমপুরের এক বাসিন্দা বলছেন, ‘‘দাঁতে দাঁত চাপে অনেক অন্যায় সহ্য করেছি। আর নয়। এ বার রুখে দাঁড়াতে হবে। আর কোনও অনুরাধাকে আমরা এ ভাবে হারিয়ে যেতে দেব না। আর সেই জন্যই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Domestic violence Berhampur বহরমপুর
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE