রোজ বাড়ছে ডেঙ্গি আতঙ্ক
ডেঙ্গি রুখতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছিল। তার মধ্যে গ্রাম ঘুরে কোনও বাড়িতে জল জমে রয়েছে কিনা তা স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এলাকার কোথাও নোংরা-আবর্জনা না ফেলার জন্য গ্রামবাসীদের সচেতন করার নির্দেশও দিয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মীদের। এ ছাড়া ডেঙ্গি রুখতে এলাকার বাসিন্দাদের করণীয় কী তা জানাতে লিফলেট বিলি থেকে মাইকে প্রচারও করেছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও শমসেরগঞ্জ ব্লক এলাকায় ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা প্রতি দিন বাড়ছে। এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ পার্থপ্রতীম গুপ্ত বলছেন, ‘‘জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকার মধ্যে শমসেরগঞ্জ ব্লকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। তবে জঙ্গিপুরের বাকি ব্লকগুলিতে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’
এ দিকে ধুলিয়ানের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চনতলা কামাত এলাকার মানুষের মনে ডেঙ্গি-আতঙ্ক এতটাই চেপে বসেছে যে, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও চাইছেন না অভিভাবকেরা। এমনকি দিনের বেলায় ঘরের মধ্যে মশারি টাঙিয়ে বসে থাকছেন পুরবাসিন্দারা। তারাবাগানের ডলি খাতুন বলছেন, ‘‘বাড়িতে মশা মারার ধূপ, তেল ও মশারি ব্যবহার করছি। স্কুলে তো ওই সব থাকবে না। ফলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ঝুঁকি নিচ্ছি না।’’ সে কথা মানছেন কাঞ্চনতলা কামাত প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক আবু তাহের আলম। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে দেখছি স্কুলে ছাত্রছাত্রী কম আসছে। ফলে অনেক অভিভাবক ডেঙ্গির আতঙ্কের কারণে শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।’’
কাঞ্চনতলা কামাতের রেবেকা বিবি বলছেন, ‘‘দু’মাস থেকে বর্ষার জল জমে আছে ওয়ার্ডে। পুরসভা ওই জমা জল বের করার কোনও পদক্ষেপ করেনি। তার মধ্যে পড়শি পাঁচ জন ডেঙ্গি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’’ ধুলিয়ানের পুরপ্রধান সুবল সাহা বলেন, ‘‘ওই এলাকার ভৌগোলিক কারণে জল বের করা খুব কঠিন। পাম্প দিয়ে জল বের করা হবে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তারিক হোসেন বলছেন, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আতঙ্ক কাটাতে সচেতন করা হবে বাসিন্দাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy