পায়েল খাতুন।
মুর্শিদাবাদ আসাটা যেন কপালের ফের! এমনটাই মনে করছেন পায়েল খাতুন। শুকচাঁদকে ভালবেসে লিঙ্গ পরিবর্তন করে বছর কুড়ির রিন্টু মালিত্যা হয়েছিলেন পায়েল খাতুন। এ বছরের এপ্রিলে তাঁরা রেজিস্ট্রি করে বিয়েও করেছিলেন। বেঙ্গালুরুতে দিব্যি চলছিল সংসার। কিন্তু স্বাভাবিক সেই দাম্পত্য জীবন বেঙ্গালুরু থেকে মুর্শিদাবাদে এসে এমন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে ভাবতে পারেননি পায়েল। পায়েল বলছেন, ‘‘শুকচাঁদের ভালবাসায় এবং তার দাবি মেনে আমি লিঙ্গ পরিবর্তন করে মেয়ে হয়েছি। তাকে বিয়েও করেছি। সংসার করলে আমি তার সঙ্গেই করব।’’
যদিও শুকচাঁদের পরিবার কিছুতেই শুকচাঁদের সঙ্গে পায়েলের যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমনকি শুকচাঁদ এখন কোথায় আছেন, সে কথাও জানাতে নারাজ ওই পরিবার। শুকচাঁদের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘পায়েলের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারটা বাড়িতে কেউই মেনে নিতে পারেনি। ডিভোর্স দিতে হবে বলে দাদার মনখারাপ। ফলে সে কারও সঙ্গে কথা বলছে না। তবে দাদা কোথায় আছে, তা জানাচ্ছি না আমরা।’’ এ দিকে পায়েল যে ‘মেয়ে’ তার প্রমাণ দিতে না পারলে তাঁকে ঘরে তুলবেন না বলেও গোঁ ধরেছে ওই পরিবার।
শুকচাঁদকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দিচ্ছে না জানিয়ে নওদা থানায় লিখিত অভিযোগও জানান পায়েল। তদন্তে নওদার সোনাটিকুরি গ্রামের বাড়িতেও গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেখানে শুকচাঁদকে পায়নি পুলিশ।
নওদার আমতলার বাসিন্দা পায়েল এত দিন নওদায় এক মাসির বাড়িতে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রয়েছেন নওদার গঙ্গাধারী গ্রামে অন্য এক মাসির বাড়িতে। পায়েলের মা বলেন, ‘‘ছেলে থেকে মেয়ে হওয়াটা বাড়ির কেউই মেনে নিতে পারিনি। আমি তো মা। তাই ওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু বাবার ভয়ে সে বাড়িতে আসতে পারছে না। আত্মীয়দের বাড়িতে কাটাচ্ছে।’’
এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy