—প্রতীকী চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষে ভাল বর্ষার সম্ভাবনায় ভর করে খাদ্যপণ্যের দাম কমার প্রত্যাশাই উঠে এল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রিপোর্টে। সেই সঙ্গে অর্থনীতির আরও সুরক্ষিত হওয়ার কথা জানিয়ে অনিশ্চিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির রথ ছুটবে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেন্দ্র ভরসা দিলেও রয়ে গিয়েছে কাঁটা। বহু ‘যদি’-র উপরে নির্ভর প্রত্যাশাই ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আবহাওয়া এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হলে বদলে যাবে সব সমীকরণ। বিশ্ব বাজারে চাহিদার ঘাটতি এবং রফতানি বাণিজ্যে ধাক্কার কথা অবশ্য মেনেছে মন্ত্রক।
যদিও একই সঙ্গে রিপোর্টে দাবি, বিশ্বের আর্থিক অবস্থার ছবি ক্রমশ ইতিবাচক হচ্ছে। উন্নতির গতি সমান না হলেও, মন্দার আশঙ্কা কাটিয়ে বেশির ভাগ দেশের অর্থনীতি এগোচ্ছে। ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাজনিত অনিশ্চয়তা বহাল ঠিকই। তবে বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি নিয়ে নেতিবাচক ধারণা ফিকে হচ্ছে। যা আর্থিক অগ্রগতিতে মদত জোগাবে। তার উপর ভারত আর্থিক ক্ষেত্রে যে সব পদক্ষেপ করেছে, তাতে দেশের অর্থনীতি পোক্ত।
তবে পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলছেন, ‘‘ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা কমার লক্ষণ কই! বরং জটিল হচ্ছে। লোহিত সাগর দিয়ে পণ্য চলাচলে বাধার কারণে জোগানে ঘাটতি ভারত-সহ বহু দেশের আর্থিক অগ্রগতির পথে সমস্যা তৈরি করবে। এ ছাড়া চলতি ভোটের মরসুমে সরকারের দান-খয়রাতি এবং নির্বাচনের বিশাল খরচ যে মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তুলতে পারে, তা-ও মনে রাখতে হবে।’’ আইসিএআই-এর পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলেন, সবটাই বেশ কিছু ‘যদি’র উপর ভিত্তি করে স্বপ্ন ফেরি। প্রত্যাশা মিলে গেলে সব ঠিক। কিন্তু এখন চলতে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহ, পশ্চিম এশিয়ায় ইরান-ইজ়রায়েল এবং ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের ব্যারেলের প্রায় ৮৮ ডলার ছোঁয়া দাম আশঙ্কা জিইয়ে রাখছে। অতিবৃষ্টি হলেও কৃষির ক্ষতি হবে। সব থেকে বড় কথা, কর্মসংস্থানের হার এখনও ঢিমে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy