Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অপরাধীদের মদত দিচ্ছে তৃণমূল, মত অশোকের

‘তৃণমূল জিন্দাবাদ বললেই সব অপরাধ মাফ! পশ্চিমবঙ্গ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হতে চলেছে। নেতা-মন্ত্রীরা সবাই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ আমলারা সবাই চুপ। আমি বলি ধিক।’ সোমবার বহরমপুর ঋত্বিক সদনে মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআর-এর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়।

বহরমপুরে অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।

বহরমপুরে অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২৪
Share: Save:

‘তৃণমূল জিন্দাবাদ বললেই সব অপরাধ মাফ! পশ্চিমবঙ্গ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হতে চলেছে। নেতা-মন্ত্রীরা সবাই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ আমলারা সবাই চুপ। আমি বলি ধিক।’

সোমবার বহরমপুর ঋত্বিক সদনে মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআর-এর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়। কার্টুন কাণ্ডে অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতার, রাসায়নিক সারের চড়া দাম নিয়ে প্রশ্ন করায় শিলাদিত্য চৌধুরীর গ্রেফতারের নিন্দা করে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, “পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের বিষয়ে কোনও খোঁজ না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী করে ষড়যন্ত্রের কথা বলেন। আজও মূল আসামি ধরা পড়েনি। কামদুনি কাণ্ডের দোষীরা এক মাসে শাস্তি পাবে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক বছরেরও বেশি হয়ে গিয়েছে তবুও বিচারই শুরু হয়নি। অথচ মুম্বই-এ এক বছরের মধ্যে মধ্যে বিচার শেষ হয়।” যাদবপুর কাণ্ডে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এমন উপাচার্য আর একটা দেখিনি। ছেলেরা আমরণ অনশন করছে। অথচ উপাচার্য পদত্যাগ করছেন না। রাজ্যপালও কিছু বোঝেন না। তিনি বলেছেন, ডিগ্রির উপর বয়কট লিখে দেবেন। এমন ঘটনা ব্রিটিশ আমলেও ঘটেনি। অহিংস ভাবেও প্রতিবাদ করা যাবে না!”

মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে তিনি মন্দির-মসজিদের থেকে শিক্ষার প্রসারের দিকেই বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেউ বলছেন, ‘আমরা সবাই হিন্দু!’ না! আমরা সবাই ভারতীয়। সবাই মানুষ। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল দরকার। মালালার দরকার। গুলি খেয়েও সে শিক্ষার প্রসারের জন্য লড়ছে। শিক্ষা না হলে মানবাধিকার রক্ষা করা যাবে না।”

এ দিনের অনুষ্ঠানের জমায়েতের শতকরা ৯০ ভাগই ছিলেন মহিলা। তাঁদের অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলের ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, বহরমপুর উকিলসভার সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকি এবং সিপিডিআর-এর জেলা সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ, সতীদাহ প্রথা ও বাল্যবিধবা সে কালে মানবাধিকারের সব থেকে বড় ঘটনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmc ashok kumar gangopadhay criminals berhampur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE