Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফেসবুকে ফাঁদ, উদ্ধার কিশোরী

ফেসবুকের বন্ধুত্ব গড়িয়েছিল প্রেমে। অতঃপর বিয়ের প্রস্তাব। সেই মতো ঘর ছেড়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। ভুল ভাঙতে সময় লাগেনি। পুলিশি তত্‌পরতায় রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রী। আজ, মঙ্গলবার বহরমপুরে মুর্শিদাবাদের সিজেএম আদালতে গোপন জবানবন্দির জন্য হাজির করানো হবে তাকে। অভিযুক্ত চার যুবককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শক্তিপুর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৬
Share: Save:

ফেসবুকের বন্ধুত্ব গড়িয়েছিল প্রেমে। অতঃপর বিয়ের প্রস্তাব। সেই মতো ঘর ছেড়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। ভুল ভাঙতে সময় লাগেনি। পুলিশি তত্‌পরতায় রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রী। আজ, মঙ্গলবার বহরমপুরে মুর্শিদাবাদের সিজেএম আদালতে গোপন জবানবন্দির জন্য হাজির করানো হবে তাকে। অভিযুক্ত চার যুবককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল সন্তু। সেইমতো মঙ্গলবার তাকে নিয়ে যায় চার যুবক। বলা হয় কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে ওই যুবকেদের কথাবার্তায় সে জানতে পারে তাকে ওড়িশায় নিয়ে গিয়ে বিক্রির পরিকল্পনা হচ্ছে

ঘটনার সূত্রপাত আট মাস আগে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বাসিন্দা সন্তু পাণ্ডা ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতায় মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা ওই কিশোরীর সঙ্গে। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, তারপরই বিয়ের প্রস্তাব। ফোনালাপেই ঠিক হয়েছিল বাড়ি থেকে পালানোর যাবতীয় ‘প্ল্যান’। সেই মতো গত মঙ্গলবার দুপুরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার নাম করে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজ-খবর শুরু হয়। বুধবার সকালে শক্তিপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে পরিবার।

ওই কিশোরীর ব্যক্তিগত ডায়েরি ঘেঁটে পুলিশের হাতে আসে সন্তুর ফোন নম্বর। বুধবার রাতেই মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন থেকে জানা যায় সন্তু রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারি থানার খানগোড়া এলাকায়। শক্তিপুর থানার তরফেই যোগাযোগ করা হয় খেজুরি থানায়। ইতিমধ্যে সন্তুর মোবাইল ফোনের কল লিস্ট থেকে পাওয়া যায় মদন নামে অন্য এক যুবকের নাম। তার বাড়িও খেজুরিতেই। এলাকায় আসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকায় মদনের নাম পুলিশের খাতায় ছিলই। শুক্রবার খেজুরি থানায় ডেকে পাঠানো হয় মদনের বাবাকে। এ দিকে পুলিশি তল্লাশির খবর পেয়ে পরদিনই ওই চার যুবক কেশিয়ারি ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিশোরীকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে খেজুরি থানায় পাঠিয়ে দেয়।

পুলিশও জানিয়েছে কেশিয়ারিতে যেখানে তাকে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে ওড়িশা বেশি দূর নয়। শক্তিপুর থানার ওসি দেবদাস বিশ্বাস বলেন, “ফেসবুকে আসক্ত এখন প্রত্যন্ত গ্রামের কিশোর-কিশোরীরা। বন্ধুত্ব পাতিয়ে কিশোরীদের এই ধরনের ফাঁদে ফেলার চক্র সক্রিয় রয়েছে। ওই চার জন তেমন কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে হয়েছে।”

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “মনে হচ্ছে ফেসবুকে অন্যের ছবি দিয়ে সন্তু নিজের প্রোফাইল খুলেছিল। ওই কিশোরীকে পাচার করে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। তবে ওই ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

facebook trap shaktipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE