Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফেরার পথে দুর্ঘটনা, জখম ১৪ পরীক্ষার্থী

পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ছোটগাড়ির আরোহী ১৪ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জখম হয়েছে। জখম হয়েছেন গাড়ির চালকও। শনিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার কুরমানপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১০
Share: Save:

পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ছোটগাড়ির আরোহী ১৪ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জখম হয়েছে। জখম হয়েছেন গাড়ির চালকও। শনিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার কুরমানপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। চালক ও ১০ জন পরীক্ষার্থীকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি চার জনকে ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, জখম পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ জন ইটাহার লাগোয়া হরিরামপুর থানার চণ্ডীপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া। বাকি ৬ পরীক্ষার্থী ইটাহারেরই বৈদড়া জনকল্যাণ হাইস্কুলের পড়ে। সকলেরই বাড়ি কোঁয়ারপুর এলাকায়। ইটাহার গার্লস হাইস্কুলে তাদের পরীক্ষার
আসন পড়েছিল।

প্রতিদিনের মতো এ দিনও ওই ১৪ জন পরীক্ষার্থী তাদের ভাড়া করা ওই ছোটগাড়িতে চেপে পরীক্ষা দিতে আসে। বাড়ি ফেরার পথে ওই ছোটগাড়ির চালক কুরমানপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি পাম্পে পেট্রল ভরার জন্য গাড়িটি নিয়ে যান। তেল নিয়ে ফেরার পথে রায়গঞ্জগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে ছোটগাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গাড়িটি রাস্তার মাঝের ডিভাইডারের উপর গিয়ে উল্টে যায়। বাসিন্দারা জখম অবস্থায় চালক-সহ পরীক্ষার্থীদের উদ্ধার ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পুলিশ ট্রাক-সহ দু’টি গাড়িকে আটক করেছে। চালক ও খালাসি পলাতক।

ইটাহারের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘জখম পরীক্ষার্থীরা শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে তাদের হাসপাতাল থেকে পরবর্তী পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

street accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE