চিকিৎসায় গাফিলতিতে ২৩ দিনের এক শিশু কন্যার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পুলিশেও অভিযোগ জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।
মৃত শিশুর নাম শ্রুতি রায়। বাড়ি পাথরঘাটার ভেংচিজোতে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই শিশুটির জন্ম দিয়েছিলেন মা রিঙ্কুদেবী। ছুটি পেয়ে বাড়িও চলে গিয়েছিলেন। বুধবার দুপুরে জ্বরে আক্রান্ত শিশুটিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের লোকেরা। শিশু বিভাগে রেখে চিকিৎসা চলছিল। শিশুটির রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এরপরেই বাইরের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট ওয়ার্ডেও পাঠানো হয়। অভিযোগ, এ দিন দুপুরের পর আর কোনও শিশু চিকিৎসক শিশুটিকে দেখেননি। বৃহস্পতিবার সকালে পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে শিশুটিকে সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে পাঠানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরে সকাল সাতটা নাগাদ শিশুটি মারা যায়।
তার বাবা রতন রায় মার্বেলের দোকানের কর্মী। তাঁর দাবি, ‘‘চিকিৎসক একবার দেখে আমার মেয়ের রক্ত পরীক্ষা করাতে বলেন। হাসপাতালের পরামর্শে বাইরে থেকে সেই পরীক্ষা করাই। কিন্তু তিনি আর মেয়েকে দেখতে আসেনি। সময় মতো চিকিৎসা না হওয়াতেই মেয়েকে হারাতে হল।’’
এরপরেই দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের শাস্তির দাবিতে সুপারের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে মৃতের পরিবার। বাইরে কেন রক্ত পরীক্ষা করাতে পাঠানো হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সুপার তদন্ত করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সুপার মৈত্রেয়ী কর বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনেক সময়েই সিনিয়র চিকিৎসকরা থাকেন না বলে অভিযোগ। কাজ চালানো হয় জুনিয়র ডাক্তারদের দিয়ে। আগেও একাধিকবার এই নিয়ে রোগীর পরিবারের সঙ্গে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বচসা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বদলায়নি বলেই রোগীর পরিবারের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy