মর্মান্তিক: ঘটনাস্থলেই মারা যান পাঁচ জন। —নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের রামপুরহাট থেকে বৌভাতের নিমন্ত্রণ থেকে ফেরার পথে বোলেরো-ডাম্পার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন সহ মৃত্যু হল মোট ৫ জনের। সোমবার রাত সওয়া তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ১৮ মাইল এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মুরলী প্রসাদ (৬৯), তাঁর স্ত্রী কৌশল্যা প্রসাদ (৬১), তাঁদের ছেলে রাকেশ প্রসাদ ওরফে মুন্না (৩৮) ও আর এক ছেলে অমিত প্রসাদ ওরফে পাপ্পু (৩৩)। মারা গিয়েছেন তাঁদের গাড়ির চালক সঞ্জয় মণ্ডলও (৩২)।
মুরলীপ্রসাদের পরিবারের বাড়ি ইংরেজবাজার শহরের বিবিগ্রাম এলাকায়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা বিবিগ্রাম এলাকা। গাড়ির চালকের বাড়ি ইংরেজবাজার পুরসভা সংলগ্ন গাবগাছি এলাকায়। ওই দুর্ঘটনার জেরে সে সময় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কিছু সময়ের জন্য যানজট তৈরি হয়। তবে দুটি গাড়িকে দ্রুত সরিয়ে পুলিশ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ডাম্পারটি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে জাতীয় সড়কের উল্টো লেন ধরে ফরাক্কার দিকে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। উল্টো দিক থেকে বোলেরোটিও মালদহের দিকে দ্রুতগতিতে ছুটছিল। মুখোমুখি ধাক্কায় বোলেরোর সামনের অংশ দুমড়ে যায়। বোলেরোর পাঁচ জনেরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।
মৃতদের প্রথমে কালিয়াচকের সিলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) বিপুল মজুমদার বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ডাম্পারটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক।’’ এই ঘটনার পরে রাতে জাতীয় সড়কে দ্বিমুখী লেনে গাড়ি যেন যথেচ্ছ চলাচল না করে, সে দিকে নজরদারি করার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। মালদহ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘হাইওয়ে পেট্রল’-এ আরও কর্মী মোতায়েনের কথা ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy