ফাইল চিত্র
সিকিম থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে খাদে গাড়ি পড়ে মারা গেলেন ওড়িশার পাঁচ পর্যটক। মঙ্গলবার দুপুরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কালিম্পং থানার সুনতালের ঘটনা। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও তিনজন। তাঁদের শিলিগুড়ি শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়ি চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ভূপাল ছেত্রী নামে ওই চালককে। করোনার জেরে এমনিতেই পর্যটনের অবস্থা খারাপ। তার উপর চালকদের এরকম গাফিলতিতে চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ জানায়, এ দিন সিকিমের রংলি থেকে এনজেপির দিকে একটি ছোট গাড়িতে ফিরছিলেন ওড়িশার ৮ পর্যটক। তাঁদের এনজেপি থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল। তাড়াহুড়ো করে গাড়ি চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। রম্ভি ফাঁড়ির সুনতালে পেট্রলপাম্পের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি অন্তত ৬০০ ফুট নীচে পড়ে যায়। স্থানীয়রা এবং পুলিশ জখমদের উদ্ধার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের রম্ভি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে পাঁচ পর্যটককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে জখমদের নিয়ে আসা হয় শিলিগুড়িতে। মৃতদের নাম, অভিজিৎ রথ (৪৫), সুলোচনা পাণ্ডা (৬৩), শকুন্তলা নন্দা (৬০), চন্দ্রশেখর নন্দা (৬৬), সবিতা নন্দা (৫০)। শিলিগুড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ডলি দাস, শ্বেতাপদ্মা নন্দা এবং সাই স্নেহা রথ।
প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছাড়া পান চালক ভূপাল ছেত্রী। জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে এ দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশ জানায়, ভূপাল সিকিমের বাসিন্দা। কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার হরিকষ্ণ পাই বলেন, ‘‘ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হবে। চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হচ্ছে।’’
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘অবিলম্বে গাড়ির মালিকদের নজর দিতে বলব। পুলিশ এলাকায় ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার দিয়ে চালকদের পরীক্ষা করার হার বাড়াক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy