E-Paper

ভরা গ্রীষ্মেই ডেঙ্গির সংক্রমণ কেন? চিন্তা 

চলতি বছর বর্ষা আসার আগে ভরা গ্রীষ্মেই ডেঙ্গির প্রকোপ আলিপুরদুয়ার জেলায় কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত চিকিৎসকেরা।

পার্থ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ০৮:৩০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভোট দিতে পরিযায়ী শ্রমিকেরা জেলায় ফিরতেই আলিপুরদুয়ারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। যে ঘটনায় চিন্তায় আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্য-কর্তারা। প্রতিবেশী রাষ্ট্র কিংবা ভিন্ রাজ্য থেকে জেলায় ফেরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য জেলা থেকে ইতিমধ্যেই কলকাতায় পাঠানো হয়েছে বলে আলিপুরদুয়ার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রিপোর্টে শ্রমিকেরা কোথা থেকে জেলায় এসেছিলেন, সেই তথ্যও জানানো হয়েছে।

বরাবরই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়াপ্রবণ জেলা বলেই পরিচিত আলিপুরদুয়ার। কিন্তু চলতি বছর বর্ষা আসার আগে ভরা গ্রীষ্মেই ডেঙ্গির প্রকোপ আলিপুরদুয়ার জেলায় কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ জন। যাঁদের মধ্যে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন বুধবার। জেলা জুড়ে আক্রান্ত ৪৪ জনের মধ্যে আবার ৩৫ জনই কালচিনি ব্লকের বাসিন্দা। বাকি ব্লকগুলোতে এই কয়েক মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এক-দু’জনের বেশি নয়।

প্রশ্ন উঠছে, জেলার একটি ব্লকে এত জন বাসিন্দা কেন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন? স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ব্লকের প্রত্যেক ডেঙ্গি আক্রন্তের বিশদ তথ্য নিয়ে তাঁরা জানতে পেরেছেন, আক্রান্তদের একটা অংশ পরিযায়ী শ্রমিক। যাঁরা গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট দিতে প্রতিবেশী দেশ বা ভিন্ রাজ্য থেকে কালচিনিতে নিজেদের বাড়িতে ফিরেছিলেন। আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুপ্রিয় চৌধুরী বলেন, “জেলার বাকি ব্লক থেকে কালচিনিতে এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এখনও কিছুটা বেশি। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, সেখানে আক্রান্তদের কেউ কেউ পরিযায়ী শ্রমিক। সাম্প্রতিক সময়ে যাঁরা বাড়ি ফেরার সময়ে বা বাড়ি ফিরে জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে, পরীক্ষায় তাঁদের ডেঙ্গি ধরা পড়ে।” আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, এ নিয়ে রাজ্যে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তবে আক্রান্তদের প্রায় সকলেই এই মুহূর্তে সুস্থ রয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকে ফের কাজের জায়গায় ফিরেও গিয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Alipurduar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy