জঙ্গল থেকে বার হয়ে এসেছিল এই হরিণটি। লোকজনের তাড়ায় চোট পায় সে। তাকে শুশ্রূষা করছেন স্থানীয়রা। জলপাইগুড়ির কাছে (ডান দিকে)। ছবি: স্বরূপ সরকার ও সন্দীপ পাল
শনিবার ভরদুপুরে গ্রামের রাস্তায় প্রাণীটিকে ছোটাছুটি করতে দেখে প্রথমে চোখ কচলে নিয়েছিলেন বাড়ির সামনে বসে থাকা কয়েকজন বৃদ্ধ। ঠিক ঠাহর হচ্ছে তো? এমন ভেবে কয়েক জন চশমার কাচ খুলে বারদুয়েক মুছেও নেন। অবশেষে বোঝা গেল, ঠিকই দেখা গিয়েছে। প্রাণীটি হরিণই। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বাজিতপাড়ার ঘটনা। দ্রুত সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পড়িমরি করে লোকজন রাস্তায় ভিড় করতে শুরু করেন। হরিণ দেখার চক্করে ততক্ষণে লকডাউনের নিয়ম মাথায় উঠেছে। পরে অবশ্য হরিণটিকে উদ্ধার করা হয়। সেটিকে সুস্থ করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বনকর্মীদের একাংশের ধারণা, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল ছেড়ে চা বাগান দিয়ে লোকালয়ে এসেছিল হরিণটি। পাহাড়পুর এলাকায় রেললাইন টপকে বড়ুয়াপাড়া থেকে বাজিত পাড়ায় চলে আসে প্রাণীটি। সেখানেই গ্রামের মধ্যে ছোটাছুটি করার সময় নজরে পড়ে সেটি। ভিড় করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। বনকর্মীদের ধারণা, সম্ভবত তাতেই ভয় পেয়ে যায় হরিণটি। গ্রামেরই এক বাসিন্দা গফুর আলির বাড়িতে আশ্রয় নেয় সেটি। গ্রামবাসীরা তখন সেটিকে ধরে ফেলেন। ছোটাছুটি করে হরিণটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলে দাবি বাসিন্দাদের। হরিণটির চোখ ঢাকা দিয়ে, টেবিল ফ্যান চালিয়ে তাকে হাওয়া দিতে শুরু করেন বাসিন্দার। খবর দেওয়া হয় বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগ ও কোতোয়ালি থানায়। তারা এসে ভিড় হঠিয়ে উদ্ধার করেন হরিণটিকে।
এক গ্রামবাসী মহম্মদ আলি বলেন, ‘‘আমরা হরিণটি ধরে ফেলি। খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল প্রাণীটি। জল ও ফ্যানের হাওয়া দিয়ে সুস্থ করা হয়।’’ মহম্মদ ফিরোজ বলেন, ‘‘হরিণ দেখার উৎসাহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা সকলেই ভুলে গিয়েছিলাম। পরে সকলকে হাত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।’’ বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের ডিএফও উমা রানি এন বলেন, ‘‘হরিণটি সুস্থ রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা করে জঙ্গলে ছেড়েদেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy