মাজিদ আনসারি।
মাজিদ আনসারির মৃত্যুর পরে রাজ্য থেকেই সরে গিয়েছে অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের ফোন ট্র্যাক করে একবার দিনহাটায় পরে কলকাতায় তারা রয়েছে বলে জানা যায়। সেই হিসেবে ছক কষে একাধিক জায়গায় হানা দিলেও অভিযুক্তদের দেখা পায়নি পুলিশ। এবারে পুলিশ সন্দেহ করছে, বিহার বা ওড়িশার দিকে পালিয়ে যেতে পারে অভিযুক্তরা। তাদের ফোন কলের অপেক্ষায় বসে রয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, অভিযুক্তরা যে কোনও জায়গা থেকে হলেও তাদের পরিজনদের কাছে ফোন করতে পারে। তাতেই সূত্র মিলতে পারে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।”
গত ১৩ জুলাই কোচবিহারের স্টেশন মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয় মাজিদ আনসারি। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে কয়েকজন যুবক। ২৫ জুলাই শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাজিদের। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদ টিএমসিপির কোচবিহার কলেজ ইউনিটের আহ্বায়ক ছিলেন। তাকে যারা গুলি করে তারাও ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং টিএমসিপির কর্মী। ওই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পুলিশ তৃণমূল নেতা মুন্না খানকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তার পরেও অবশ্য বাকি অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তা নিয়েই ক্ষোভ ছড়িয়েছে কোচবিহারে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
এমন অবস্থায় কোচবিহার শহর লাগোয়া এলাকায় নিত্যদিন বোমাবাজি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পানিশালা, দেওয়ানহাট থেকে শুরু করে ভেটাগুড়ি সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় গভীর রাতে বোমাবাজি হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যে পুলিশ কিছু দেশি বোমা উদ্ধার করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, শহর ও গ্রাম কোথাও পরিবেশ শান্ত নেই। সব জায়গায় সাধারণ মানুষ একটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বিজেপির কোচবিহার জেলা নেতা নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে ক্ষমতা চলে গিয়েছে। পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই অবস্থার পরিবর্তন দ্রুত প্রয়োজন।” তৃণমূল অবশ্য এমন পরিস্থিতি মানতে নারাজ। তাদের দাবি, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। তার ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy