Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোগী কমলেও বাড়ছে ভোগান্তি

সরকারি হিসেব বলছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে এডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা জেলায় কমছে৷ কিন্তু অভিযোগ, সময় যত এগোচ্ছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীর হয়রান হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলছে৷ এমনই ছবি আলিপুরদুয়ারের৷

পার্থ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৪
Share: Save:

সরকারি হিসেব বলছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে এডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা জেলায় কমছে৷ কিন্তু অভিযোগ, সময় যত এগোচ্ছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীর হয়রান হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলছে৷ এমনই ছবি আলিপুরদুয়ারের৷

অভিযোগ, জেলায় এই রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা রয়েছে৷ কিন্তু এই রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপি বা এআরটি বিভাগ এখনও হয়নি৷ আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে একটি লিঙ্ক এআরটি বিভাগ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেখান থেকে এই রোগে আক্রান্তদের জন্য শুধুমাত্র ওষুধ সরবরাহ করা হয়৷ তাই আক্রান্তদের ছুটতে হয় পাশের জেলা কোচবিহার অথবা সেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে৷

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এই মুহূর্তে এডস আক্রান্ত রোগী সংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশো৷ ২০১৭ সালে নতুন করে আক্রান্ত ১০ জনের সন্ধান মেলে। তবে এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ছ’জনে৷ এই রোগ নির্ণয়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় বর্তমানে আটটি ইনট্রিগ্রেটেড কাউন্সিলিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টার বা আইসিটিসি রয়েছে৷ যেখানে রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি আক্রান্তদের কাউন্সেলিংও করা হয়৷

কিন্তু রোগীদের সংগঠন সোসাইটি ফর পিপল লিভিং উইথ এইচআইভি এইডস-এর আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা থাকলেও চিকিৎসা পরিষেবা এখনও চালু না হওয়ায় রোগীদের প্রতিমাসে একবার করে কোচবিহার বা শিলিগুড়ি ছুটতে হচ্ছে৷ সেখানেও কখনও কখনও চিকিৎসকদের দেখা পাওয়া যায়না৷ তবে সংগঠনের এক জেলা নেতার কথায়, ‘জেলা স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তারা সমস্যা সমাধানে সবসময়ই তৎপর৷ ফালাকাটা ব্লকে রোগীরা প্রতি মাসে বিডিও অফিস থেকে ১২ কেজি চাল পাচ্ছেনও৷ এখন হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ এআরটি বিভাগ হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়৷’’ আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘ন্যাশনাল এডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা ন্যাকোর তরফে নতুন করে কোথাও এআরটি বিভাগের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছেনা৷ যা রাজ্য সরকারও জানে৷” তাই বিষয়টিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের যে আপাতত কিছু করার নেই তা জানিয়ে দেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা৷

এডস রোগীদের আরও অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘এডস রোগীরা সরকারি বাসে চেপে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করতে পারেন৷ কিন্তু তাদের পরিচয়পত্র দেখার পর অনেক সময়ই বাসের কর্মী বা অন্য যাত্রীরা মজা করেন৷’’ সুবর্ণবাবু বলেন, “এ ধরনের ঘটনা রুখতে আরটিও দফতর থেকে আক্রান্তদের এমন একটি পাস দেওয়া হয়, যাতে রোগের নামের উল্লেখ থাকবে না৷ সেটা ক’জন পেলেন বা কী পর্যায়ে রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখব৷”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Medical AIDS
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE