Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডেঙ্গি মোকাবিলায় ভুটানের সঙ্গে সমন্বয় রাখায় জোর

ভুটান সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁতে এ বছর ব্যাপক হারে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর,  এ বছর গোটা আলিপুরদুয়ার জেলায় এখনও পর্যন্ত ২২০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৯ ০৪:২৪
Share: Save:

ডেঙ্গি মোকাবিলায় মশা নিধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণের ক্ষেত্রে এ বার নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন ভুটানের ফুন্টসিলিং ও আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। বৃহস্পতিবার জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের দফতরে আলিপুরদুয়ার জেলা ও ভুটানের চুখা জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের মধ্যে আয়োজিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যৌথ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন কর্মসূচির ক্ষেত্রে তথ্য আদান প্রদান করবেন দুই জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা।

ভুটান সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁতে এ বছর ব্যাপক হারে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ বছর গোটা আলিপুরদুয়ার জেলায় এখনও পর্যন্ত ২২০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু জয়গাঁতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৯০ জন। একই ভাবে সীমান্তের ওপারে ফুন্টসিলিং-এও ব্যাপক হারে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। অনেক ক্ষেত্রে সেখান থেকেই জয়গাঁতে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে বলে দাবি জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ভুটানের অনেক নাগরিক ফুন্টসিলিং-এ বিভিন্ন নির্মাণ কাজে যুক্ত। কিন্তু বাড়ি ভাড়া বেশি হওয়ায় তাঁদের বেশিরভাগই জয়গাঁতে ঘর ভাড়া করে থাকেন। যারা প্রতিদিন সকাল হতে না হতেই ফুন্টসেলিং চলে যান। ফেরেন আবার রাতে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কথায়, জয়গাঁতে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা, কোথাও জমা জল কিংবা তাতে মশার লার্ভা থাকলে তা নষ্ট করার কাজ চলছে। কিন্তু সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘর তালা বন্ধ থাকায় জয়গাঁর বিভিন্ন এলাকায় বাস করা ভুটানের বাসিন্দাদের কয়েক হাজার ঘরে সেই সমীক্ষা চালাতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফলে সেই সব ঘরে জমা জলের মশার লার্ভাও লার্ভাও নষ্ট করা যাচ্ছে না বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি।

জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের কথায়, ফুন্টসেলিং থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ বাজার-হাট করতেও জয়গাঁতে আসেন। কিন্তু ফুন্টসিলিং-এ ব্যাপক হারে ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। সেখান থেকে জয়গাঁতেও ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। তাদের কথায়, একই সঙ্গে সীমান্তের দুদিকের দুই এলাকায় মশা নিধন সহ যাবতীয় কর্মসূচি নেওয়া না হলে কোন একটি দিকে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কার্যত অসম্ভব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bhutan Alipurduar dengue
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE