প্রতীকী ছবি।
কাটমানি নিয়ে তোড়পাড় শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদহে কাটমানির টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভের ঘটনাও সামনে এসেছে। কাটমানি নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু হয়েছে। একটি হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরও চালু করা হয়েছে। কিন্তু গোটা রাজ্যের অভিযোগ কলকাতায় এলে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। সেই কারণে উত্তরকন্যায় একটি অভিযোগ কেন্দ্র চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ওই বিষয়টি দেখছে। উত্তরকন্যা থেকে গোটা উত্তরবঙ্গের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তাদের একাংশ।
উত্তরকন্যার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগ কেন্দ্রে কী ভাবে চালানো যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কারা কাজ করবেন, নতুন কোনও টোল ফ্রি নম্বর চালু হবে কিনা সবটাই আলোচনার মধ্যে আছে।’’ গৌতম বলেন, ‘‘উত্তরকন্যায় গ্রিভ্যান্স সেল খোলা হচ্ছে বলে শুনেছি।’’ তবে কাটমানি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাননি তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা বলার বলে দিয়েছেন। সেই অনুসারেই কাজ হবে।’’
চাকরির নাম করে টাকা তোলা থেকে শুরু করে, বাড়ি বা জমির বিক্রি সবেতেই তোলা নেওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে উত্তরবঙ্গে। উত্তরকন্যায় অভিযোগ কেন্দ্র খুললে সেখানে অভিযোগ জমা পড়বে বলে একপ্রকার নিশ্চিত প্রশাসনের একাংশ। উত্তরকন্যা সূত্রের খবর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পাঁচ জনের একটি দল তৈরি হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলার পরেই এমজিএনআরইজিই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে মালদার রতুয়াতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও এক সরকারি কর্মী। চা বাগানের জমি দখল করে বিক্রির কাটমানি নিয়ে গন্ডগোলে রক্তাক্ত হয়েছে ইসলামপুর। আলিপুরদুয়ারে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। একই পরিস্থিতি কোচবিহারেও।
টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কোচবিহারের অনেক নেতা। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতেও কাটমানি নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় তোলাবাজি ও কাটমানির অনেক অভিযোগ আগেই উঠেছিল। সম্প্রতি ওই এলাকা দেখভালের দায়িত্বে থাকা দলের ৩ নম্বর ব্লক কমিটি ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল। কাটমানি নিয়ে পাহাড়েও প্রচুর অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরকন্যায় অভিযোগ কেন্দ্র চালুর প্রক্রিয়াকে রাজ্য সরকারের তরফে কড়া বার্তা বলে মনে করছেন প্রশানের কর্তারা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy