পথের ধারে প্রসব। নিজস্ব চিত্র
প্রসব বেদনা শুরু হওয়ায় মোটরবাইকে চাপিয়ে প্রসূতিকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হন পরিবারের লোক। কিন্তু রাস্তার ধারেই প্রসব করেন তিনি। অভিযোগ, এর পরে তাঁকে ও সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক বার ১০২ নম্বরে ফোন করেও সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি। শেষে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ভুটভুটি জোগাড় হাসপাতালে পাঠান। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ রায়গঞ্জের কুলিক সেতু সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা।
রেনি খাতুনের বাড়ি রায়গঞ্জ ব্লকের মহীপুর পঞ্চায়েতের প্রতাপপুরে। রায়গঞ্জ মেডিক্যালের এসএনসিইউ-তে সদ্যোজাতকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রেনি প্রসূতি বিভাগে ভর্তি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
রেনির স্বামী আকবর আলি ও ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একাধিকবার ১০২ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর অনুরোধ করি। প্রথম দু’বার ফোন ধরে এক ব্যক্তি রেনির সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সহ তাঁর ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের নম্বর নেন। তার পরে ফোন করা হলে ওই নম্বর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো সম্ভব নয়।’’
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ১ অনুপ হাজরার বক্তব্য, ওই প্রসূতি কেন অ্যাম্বুল্যান্স পেলেন না, তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পালের দাবি, খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
পেশায় দিনমজুর আকবর জানান, এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ রেনির প্রসব বেদনা শুরু হয়। আকবর স্ত্রীকে বাইকের মাঝে বসিয়ে ও পিছনে মা বিলসিরিকে বসিয়ে হাসপাতালে রওনা হন। কিন্তু স্থানীয় মহিলা ও ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যাদের সাহায্যে শেষে রাস্তার ধারে আগাছার জঙ্গলে কাপড়ে ঢেকে রেনির কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। অ্যাম্বুল্যান্স না আসায় পরে ঝুঁকি নিয়েই তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy