Advertisement
১১ মে ২০২৪

শুশ্রূষা চেয়ে জুটল ‘মার’

সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধা রমিলা বেওয়া ফুলবাড়ির প্রধানপাড়ার বাসিন্দা। এ দিন তাঁকে নিয়ে মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন মেয়ে রফিনা খাতুন।

রুবিনা বেওয়া। নিজস্ব চিত্র

রুবিনা বেওয়া। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭
Share: Save:

চিকিৎসার সময় এক বৃদ্ধার গলা টিপে চড়, ঘুষি মারার অভিযোগ উঠল এর জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। উঠেছে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও। সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বহির্বিভাগের ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদ করে ওই বৃদ্ধার মেয়ে সুপারকে অভিযোগ জানাবেন বলায় ওই চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন ছিঁড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা না করেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে বলে দাবি ওই বৃদ্ধার মেয়ের। ঘটনার পরেই সুপারের দফতরে অভিযোগ জানালেও তখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধা রমিলা বেওয়া ফুলবাড়ির প্রধানপাড়ার বাসিন্দা। এ দিন তাঁকে নিয়ে মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন মেয়ে রফিনা খাতুন। তিনি জানান, চিকিৎসক নানা পরীক্ষা করাতে বলেছিলেন। সেগুলির রিপোর্ট নিয়ে এ দিন যান তাঁরা। পুরনো টিকিট থাকায় এ দিন আর নতুন করে কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে হয়নি। এ দিন ওই বিভাগে যিনি জুনিয়র চিকিৎসক ছিলেন তিনি ওই বৃদ্ধাকে পরীক্ষা করছিলেন। রফিনা জানান, ওই চিকিৎসক তাঁর মাকে যে ভাবে দাঁড়াতে বলেন তাতে সমস্যা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘‘শুইয়ে দিয়ে জোরে পা টানায় মা বলেছিল একটু আস্তে টানতে। তাতে রেগে যান ওই ডাক্তার। মা সমস্যার কথা বলতে পারছে না দেখে আমি বলতে গেলে চিকিৎসক থামিয়ে দিয়ে আমাকে চুপ করতে বলেন।’’ বারবার প্রশ্ন করতে হওয়ায় ওই চিকিৎসক রেগে যান বলে অভিযোগ। রফিনা বলেন, ‘‘তখনই চিকিৎসক মার গলা টিপে ধরে চড় মারেন, ঘুষি মারেন। আমি বলি কেন আপনি এ রকম করছেন। আপনি না দেখলে বলে দিন। আমি সুপারকে জানাব।’’ এই বলে মাকে নিয়ে রফিনা ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে ওই চিকিৎসক টিকিট, প্রেসক্রিপশন কেড়ে ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ।

যদিও ওই জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ অস্বীকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চিকিৎসক জানান, বৃদ্ধার নার্ভের সমস্যা রয়েছে। যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রোগী লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছি।’’ হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE