ডুয়ার্স মানেই তো জঙ্গল। আগে অনেক ঘন ছিল। এখন জঙ্গলের ঘনত্ব অনেক কমেছে। অতীতেও গ্রীষ্মের মুখে বন ছেড়ে চিতাবাঘ লোকালয়ের আশেপাশে ঢুকে পড়ত। এখনও ঢুকছে। আগামী দিনেও ঢুকবে। এটা আটকানোর চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বরং চিতাবাঘ যে প্রসবের সময়ে লোকালয় লাগোয়া ঝোপে থাকতে পছন্দ করে, সেটা আমাদের ছোট-বড় সকলকে বুঝতে হবে। বোঝাতেও হবে। মানুষকে একটু বেশি সহনশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে, পৃথিবীতে যত বুনো জন্তু-জানোয়ার আছে তারা সকলেই মানুষকে ভীষণ ভয় পায়। চিতাবাঘও তা-ই। কিন্তু লোকালয়ে ঢুকে পড়া চিতাবাঘকে দেখে হইচই শুরু করলে সে আরও ঘাবড়ে য়ায়। আত্মরক্ষার তাগিতে নানা কাণ্ড ঘটাতে থাকে। যেমন হয়েছে ধূপগুড়িতে। আমার অনুরোধ, চিতাবাঘ কোথাও ঘাঁটি গেড়েছে জানলে বন দফতরে খবর দিন। পরিবেশপ্রেমীদের জানান। ইট-পাথর ছুড়বেন না। কাছাকাছি যাবেন না। তা হলে দেখবেন, বিপদ ঘটবে না। বন বিভাগ গিয়ে সেটিকে বনে পাঠানোর ব্যবস্থা কjবে। চিতাবাঘটিগাছ থেকে নেমে এক ছুটে যে জঙ্গলের দিকে চলে যাবে, তার উপায় আমরা মানুষেরাই রাখিনি। চার দিক ঘিরে দাঁড়িয়েছিলাম। পালানোর রাস্তা করে দেব না কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy