Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

কাশ্মীরে কত জন কাজে, হিসেব নেই

কাজের খোঁজে এই জেলা থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা অনেকদিনের। সাধারণত শ্রমিক সরবরাহকারী সংস্থার মাধ্যমেই জেলার বহু যুবক কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি  দেন।

পথ চেয়ে: কাশ্মীরে কর্মরত শ্রমিকদের পরিজনেরা। মঙ্গলবার চাকুলিয়ার ঘরধাপ্পা গ্রামে। ছবি: মেহেদি হেদায়েতুল্লা

পথ চেয়ে: কাশ্মীরে কর্মরত শ্রমিকদের পরিজনেরা। মঙ্গলবার চাকুলিয়ার ঘরধাপ্পা গ্রামে। ছবি: মেহেদি হেদায়েতুল্লা

জয়ন্ত সেন  
মালদহ শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৫:৫৪
Share: Save:

মালদহ জেলার কত জন শ্রমিক এই মুহূর্তে কাশ্মীরে কর্মসূত্রে রয়েছেন, সেরকম কোনও তথ্যই প্রশাসনের কাছে নেই। তবে উপত্যকায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে সেই তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করল জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই তথ্য জানাতে শ্রম দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত দফতরকেও স্থানীয় নির্বাচিত সদস্যদের মাধ্যমে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে সেই সংক্রান্ত তালিকাও চাওয়া হয়েছে।

কাজের খোঁজে এই জেলা থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা অনেকদিনের। সাধারণত শ্রমিক সরবরাহকারী সংস্থার মাধ্যমেই জেলার বহু যুবক কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন। সেই সূত্রে কাশ্মীরে কর্মসূত্রে রয়েছেন জেলার অসংখ্য শ্রমিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকেরা মূলত আপেল বাগান পরিচর্যার কাজ করেন। পাশাপাশি, বৈদ্যুতিক ও মোবাইল ফোনের টাওয়ার তৈরির কাজও করেন। কিছু শ্রমিক আছেন যাঁরা নির্মাণকাজে যুক্ত। সূত্রের খবর, জেলার কালিয়াচক-১ ও ৩ ব্লকের অনেক বাসিন্দাই আপেল বাগানের শ্রমিক হিসেবে রয়েছেন। মাস তিনেক আগে আপেল বাগানে কাজ করতে কাশ্মীরের বারামুলা জেলার বানিয়ার এলাকায় গিয়েছেন কালিয়াচক-৩ ব্লকের চকমাইলপুর গ্রামের বাসিন্দা সোলেমান শেখ ও তার ছেলে সুভান। চারদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সোলেমানের স্ত্রী হাকিমন বিবি জানিয়েছেন, চারদিন আগে স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে তাঁর কথা হয়েছিল। সুযোগ পেলেই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তারপর থেকে মোবাইল বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

কাশ্মীরের অস্থিরতা আঁচ করতে পেরে বারামুলা জেলার উড়িরডাচি গ্রামে আপেল বাগানের শ্রমিক দুই ভাই হাসান শেখ ও রেজাউল মিয়াঁ জম্মুতে এসে ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন। বাড়ি ফিরছেন চকমাইলপুর গ্রামের মুসলিম শেখ, রফিক শেখরাও। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কাশ্মীরে এই জেলার কতজন ব্যক্তি উপত্যকায় আছেন, সেই তথ্য জানতে ইতিমধ্যে শ্রম দফতরের আধিকারিকদের কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে।

মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক অশোককুমার মোদক বলেন, ‘‘মালদহ জেলার কতজন বাসিন্দা কাশ্মীরে বিভিন্ন কাজে কর্মরত রয়েছেন তার তালিকা তৈরির চেষ্টা চলছে। তালিকা পেলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE