বেহাল: হাসপাতালের মেঝেতে রোগীরা। নিজস্ব চিত্র
শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে বারবার পুরসভার শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল। সোমবার থেকে রাস্তার নেমে আন্দোলনের কথাও ঘোষণা করেছে জেলা তৃণমূল। এ বার ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, কলকাতায় ডেঙ্গিতে অনেকে মারা যাচ্ছেন। কেন্দ্রকে ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য তথ্য দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুধুমাত্র শিলিগুড়িতেই অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে জানিয়ে মেয়র দাবি করেন রাজ্যে কোন জেলায় কত ডেঙ্গি হচ্ছে তা জানান হোক।
যদিও মেয়রের কথার গুরুত্ব দিতে চাইছে না জেলা তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, শিলিগুড়ির পরিস্থিতি ঢাকতে কলকাতার প্রসঙ্গ টানছেন মেয়র।
মেয়র এ দিন তথ্য দিয়ে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে এ রাজ্যে ডেঙ্গিতে ৩৭৭৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা গিয়েছেন ৪৬ জন। তারপর থেকে ওই রিপোর্ট অনুয়ায়ী এ রাজ্যে ২০১৮, ২০১৯ সালে কোনও ডেঙ্গি আক্রান্ত বা ডেঙ্গিতে মৃত্যুর তথ্য নেই। মেয়র বলেন, ‘‘এরকম রিপোর্ট কেন তা মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যকে তথ্য জানাতে হয়। এই রিপোর্ট তো প্রমাণ করবে শিলিগুড়িতে কোনও ডেঙ্গি নেই। ডিসেম্বরে বিধানসভাতে বিষয়টি তুলব।’’
যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে শিলিগুড়িতে এ বছর ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০৫০ ছাড়িয়েছে। শহরের ১ থেকে ৫, ১৯, ২১, ২৮, ৪২ নম্বরের মতো ওয়ার্ডগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ১১, ১২, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডেও ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার হাসমিচকে শহরে ডেঙ্গি রোধে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিনভর অবস্থান করবে তৃণমূল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘কলকাতায় কত আক্রান্ত সে কথা বলে তো এখানকার মানুষকে সুস্থ করা যাবে না। এই শহরে রোগ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার পুর কর্তৃপক্ষের। সেই কাজ তারা সঠিক ভাবে করছেন না।’’
এ দিন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কাছে রাজ্য নিজেই ডেঙ্গির তথ্য গোপন করছে। কলকাতায় বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে শুক্রবার তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানান, পরিষেবা দিতে তাদের কাছে পর্যাপ্ত লোক নেই। রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এখানে বিভিন্ন বিবৃতি দিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy