আজ, সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ দ্বন্দ্বের আশঙ্কায় শনিবারও জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনের দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণাই করতে পারল না তৃণমূল।
প্রার্থী নিয়ে এই টানাটানি মিটিয়ে জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ও প্রতীক বিলি নিয়ে শনিবার রাতে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের একটি হোটেলে সেই বৈঠক চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে মালদহ জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনে কারা প্রার্থী হবে তা নিয়ে শুরু থেকেই দ্বন্দ্ব রয়েছে তৃণমূলে। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মালদহে এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রেই খবর, সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে গত পঞ্চায়েত ভোটে যাঁরা দলের টিকিটে জিতেছিলেন ও পরে সিপিএম এবং কংগ্রেস থেকে যাঁরা দলে এসেছেন তাঁদের প্রার্থী করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারও আসন সংরক্ষণের আওতায় পড়লে তাঁকে পাশের কোনও আসন থেকে দাঁড় করানো যায় কি না দেখা হবে।
এরপর জেলার ১৫টি ব্লকের দলীয় সভাপতিদের কাছ থেকে জেলা পরিষদ আসনের দলীয় প্রার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়। যদিও সেখানে একাধিক প্রার্থীর নাম জমা পড়ে।
দল সূত্রে খবর, জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে জেরবার হয়ে দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন দারস্থ হন দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দুবাবুর। কলকাতায় মোয়াজ্জেম হোসেন-সহ কয়েকজন দলীয় নেতৃত্বের বৈঠকও হয়। একটি প্রার্থী তালিকা ঠিক হয়। যদিও সেই প্রার্থী তালিকা শনিবার পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি দলের জেলা নেতৃত্ব।
এরমধ্যে ১৩ জন মনোনয়ন জমা করেন। যদিও ৩০ নম্বর আসনে উত্তম চৌধুরী ও সুবোধ চৌধুরী এই দু’জন মনোনয়ন জমা করেন। ৩৫ ও ৩৭ নম্বর আসনে প্রার্থী নিয়েও দলে সমস্যা দেখা দেয়। ওই দুই আসনে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর নাম জানাজানি হতে দলে বিক্ষোভ দেখা দেয়। কিন্তু হাতে আর সময় নেই, আজ সোমবার মনোনয়নের শেষ দিন। তাই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে এ দিন তৃণমূল নেতৃত্ব তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন-সহ সাধারণ সম্পাদক আশিস কুণ্ডু ও ছোটন মৌলিক, দলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি, ব্লক সভাপতি ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছিলেন। ছোটনবাবু কেবল বলেন, জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা নিয়েই বৈঠক হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy