ফাইল চিত্র।
দেশদ্রোহিতা ও আরও একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বছর দেড়েক ধরে ফেরার রয়েছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরি। তাঁদের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে পাহাড়ে ক্রমশ পায়ের তলায় মাটি শক্ত করে গিয়েছেন বিনয় তামাং ও অনীত থাপারা। প্রস্তুতি নিচ্ছেন জিটিএ ভোটের জন্য। সামনে রয়েছে লোকসভা ভোটও। এই পরিস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে পাহাড়ের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকতে যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরিরা।
সোমবার সকালে নিজের তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা পাঠান রোশন গিরি। আগামী ২৩ অক্টোবর পাহাড়ে ‘শপথ দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছেন পাহাড়ের দুই ‘ফেরার’ নেতা। মোর্চার অন্দরের খবর, অতীতে শপথ দিবস কখনও পালিত হয়নি। কিন্তু, গত বছর আন্দোলনের সময়ে জেলবন্দি মোর্চা নেতা তথা কালিম্পং পুরসভার কাউন্সিলর বরুণ ভুজেলের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর দিন ছিল ২৩ অক্টোবর। সেই ঘটনাকে সামনে রেখে শপথ দিবসের ডাক দিয়েছেন গুরুং-গিরি। তাঁরা আড়ালে থেকে প্রায়শই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে পাহাড়ে নানা কর্মসূচির ডাক দেন। এসবের উপরে নজর রাখছে পুলিশ। গুরুংকে গ্রেফতার করতে সিআইডির একটি দল নিয়মিত দিল্লিতে নজর রাখছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই দুই নেতা দিল্লি লাগোয়া এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, আড়ালে বসে পাহাড়ে গোলমালের চেষ্টা চালানো বরদাস্ত করা হবে না, তাই তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।
গুরুং ও গিরির এ বারের ‘শপথ দিবস’এর ডাক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোর্চায় বিনয়-অনীত অনুগামীদের অনেকেই। তাঁদের দাবি, গত বছর কালিম্পঙের পুরসভার কাউন্সিলর বরুণ ভুজেল জেলে থাকার সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সে সময়ে বিনয়-অনীতরাই বরুণ ভুজেলের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলে মোর্চার একাংশের দাবি। এখন পাহাড়ের লোকজনকে উসকে ফের গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করেছেন বিনয়-অনীতরা। বিনয় বলেন, ‘‘কে পাহাড়ে মাটি কামড়ে পাহাড়বাসীর ভাল করতে চাইছে আর কে লুটপাট করে নানা জায়গায় সম্পত্তি বাড়িয়েছেন সেটা সকলেই বোঝেন। তাই দূরে বসে পাহাড়ে গোলমালের ছক কষলে তা হবে না।’’
এখন পাহাড়ে গুরুংয়ের সমর্থনে প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিল দেখা যায় না। ফেরার হওয়ার পরে গুরুং একাধিকবার মোমবাতি জ্বালানো ও নানা আহ্বান করে হোয়াটস অ্যাপে বিবৃতি দিলেও সাড়া মেলেনি। জিএনএলএফের এক শীর্ষ নেতার কথায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরসা করে বেশিদিন নেতৃত্ব দেওয়া যায় না সেটা ফের বুঝবেন গুরুং, রোশন গিরিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy