ভক্তকুমার রায়
লোকসভা নির্বাচনের মুখে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার হলেন বিজেপির যুব সংগঠন যুব মোর্চার উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি ভক্তকুমার রায়। শনিবার গভীর রাতে রায়গঞ্জের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ভক্তর বাড়ি থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড কার্তুজ এবং একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে দু’টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। একই অভিযোগে বছর দেড়েক আগেও গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন জেল হেফাজতে ছিলেন এই ভক্ত।
এ দিন দুপুরে ভক্তকে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলে পলিশ। বিচারক শতরূপা ঘোষ ধৃতের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন বিকেলে মালদহ থেকে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা ভক্তর বাড়িতে যান। বন্দর শশ্মান চত্বরে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা মজুত করার অভিযোগে পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ দিকে, ভক্তর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ দিন দুপুরে বিজেপি ও যুবমোর্চার নেতা-কর্মীরা রায়গঞ্জের মহাত্মা গাঁধী রোড এলাকায় দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। একই দাবিতে আজ, সোমবার দুপুরে দল ও যুব মোর্চার তরফে জেলার দশটি থানায় বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে বিজেপি জানিয়েছে।
পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, ভক্ত কোথা থেকে সেগুলি পেয়েছেন ও কী উদ্দেশ্যে বাড়িতে রেখেছিলেন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গোলমাল বাধানো ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে এর আগে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ ভক্তকে গ্রেফতার করেছিল। ওই মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁর দীর্ঘ দিন জেল হেফাজত হয়। ভক্তের অবশ্য দাবি, গভীর রাতে একদল পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে শোওয়ার ঘর ও উঠোনে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্লাস্টিকের প্যাকেট বোমা রেখে তাঁকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে জেলায় বিজেপির নির্বাচনী প্রচার ও রাজনৈতিক কর্মসূচিকে আটকাতে তৃণমূল সরকারি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে পুলিশকে দিয়ে ওঁকে গ্রেফতার করিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোরে বিজেপি জেলায় গুলি-বোমা নিয়ে সন্ত্রাস ও বিভেদমূলক রাজনীতি করে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে। ভক্তর বাড়ি থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সেটাই স্পষ্ট। পুলিশ আইন মেনেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করলে ওই নেতা দীর্ঘ দিন আগেই গ্রেফতার হতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy