রঙিন: বক্সার জঙ্গলে দেখা মেলে এমন সব প্রজাপতির। নিজস্ব চিত্র
পর্যটক টানতে বক্সার জঙ্গলে এ বার থাকবে রঙবাহারি প্রজাপতিদের পার্ক। ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাত খাওয়ায় প্রায় আড়াই হেক্টর জায়গায় এই পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রজাপতিদের আকর্ষণ করার জন্য লাগানো হয়েছে নানা ধরনের গাছ।
বনকর্তারা জানান, পর্যটকদের মধ্যে প্রজাপতি দেখার আগ্রহ রয়েছে। প্রজাপতির ছবি তোলার আগ্রহ রয়েছে দেশ-বিদেশের অনেক ফটোগ্রাফারদের। এই পার্ক তৈরি হলে এমন অনেকেই আসবেন। এতে লাভবান হবেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত টুরিস্ট গাইড থেকে লজ মালিক সকলেই। এই পার্ক ঘিরে জেলার পর্যটনে আশার আলো দেখছেন টুরিস্ট গাইড থেকে বনকর্তা সকলেই।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশো প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মিলেছে। এই ফলে এলাকায় জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য ঠিক রয়েছে বলে আশা বনকর্মীদের। এর মধ্যে গরুমারায় একটি প্রজাপতি উদ্যান হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তী, রাজাভাত খাওয়া, রায়মাটাং নানা ধরনের প্রজাপতিতে সমৃদ্ধ।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানান, রাজাভাত খাওয়ায় মাস ছয়েক আগে প্রজাপতি পার্কের কাজ শুরু হয়েছে। মাস কয়েকের মধ্যে তা খোলা হবে। বক্সার জঙ্গলে দেখা যায় ইয়লো গর্গন, গ্রেট নবাব, কমন নবাব, রেড বেস, কমন রোজ, গ্রেট ওরেঞ্জ স্ট্রিপ, টনি রাজা, কমন রোজ-সহ নানা ধরনের প্রজাপতি। বছরের নানা সময় ঝাঁক বেধে প্রজাপতিরা মাটিতে বসে নানা খনিজ সংগ্রহ করে। সেই সময় ছবি তোলার জন্য ভিড় জমান ফটোগ্রাফাররা।
পরিবেশবিদ অনিমেশ বসু প্রজাপতি পার্ক তৈরির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্যের আশা, ‘‘এলাকায় পর্যটক বাড়লে স্থানীয় অর্থনীতি আরও ভাল হবে। কাজ তৈরি হবে।’’ বনকর্মীরা জানান, মূলত মার্চ, এপ্রিলে জঙ্গলে প্রচুর প্রজাপতির দেখা মেলে। স্কার কোমডর ও ওরেঞ্জ ওক লিভ নামে দু’টি প্রজাপতির দেখা মিলছে বক্সায় যা সরাচর দেখা যায় না। তাছাড়া হোয়াইট কোমডোর, প্যান্থার প্রজাতির প্রজাপতি দেখা মিলেছে জয়ন্তীতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy