ক্ষোভ: হ্যামিল্টনগঞ্জে যুব তৃণমূলের পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
পরপর দু’দিন ধরে মূল ও যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা ও তুফানগঞ্জের কিছু এলাকা। দু’টি জায়গাতেই যুব তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। তবে দুই ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের যুব তৃণমূলের কর্মী বলেই মানতে চায়নি তৃণমূলের কোনও সংগঠনই। তা ছাড়া, কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘‘তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।’’
কিন্তু তুফানগঞ্জ থানার বলরামপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত সোমবার রাতে যুব তৃণমূলের কর্মীরাই শূন্যে গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ যুব তৃণমূলের এক কর্মী তিনটি মোটরবাইকে করে কয়েক জনকে নিয়ে এসে তেরঙ্গা কালীবাড়ি মোড় এলাকায় মূল তৃণমূলের কর্মী শিবচরণ বর্মনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে মূল তৃণমূলের অন্য কর্মীরা শিবচরণবাবুকে বাঁচাতে গেলে মূল অভিযুক্ত ও তার দলবল শূন্যে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান কুমার নীরেন্দ্রনারায়ণ বলেন, ‘‘বলরামপুর এলাকায় কোনও যুব তৃণমূল কর্মী নেই। অভিযুক্ত সমাজবিরোধী, গাঁজার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সে এবং তার দলবল আমার বাড়িতেও দু’বার বোমা মেরেছে।’’ শিবচরণবাবু কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার এলাকাবাসীরা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলরামপুর পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায়।
দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মকবুল হোসেনকে লক্ষ করেও গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিনহাটা থানায় তা নিয়ে অভিযোগও হয়েছে। তারপরেই মূল তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার হ্যামিল্টন বাজার এলাকায় এক ঘণ্টা পথ অবরোধ করেন যুব কর্মীরা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এই এলাকাতেই সোমবার অবরোধ করেছিলেন মূল তৃণমূল কর্মীরা।
তৃণমূল যুবর বড় আটিয়াবাড়ি ২ অঞ্চল সভাপতি নাজির হোসেন বলেন, ‘‘প্রাক্তন উপপ্রধান আব্দুল মান্নান কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। একশো দিনের প্রকল্পেও দুর্নীতি হচ্ছে। তা ঢাকতেই যুব কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ মকবুল বলেন, ‘‘অভিযোগ ঠিক নয়। এই এলাকায় যুবর কোনও সংগঠনও নেই।’’
নিশীথবাবুর বক্তব্য, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে থাকলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy