বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেবমাল্য। নিজস্ব চিত্র
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় রাজ্যে সপ্তম স্থান পেলেও নিজের লক্ষ্য পূরণ নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের ছাত্র দেবমাল্য সরকারের। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় দু’বারই রাজ্যে নবম স্থান পেয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চান আইআইটির মতো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে। ওই তালিকায় তার পছন্দের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কানপুর, দিল্লি, খড়গপুর, মুম্বই ও চেন্নাই আইআইটি। ওই প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির সুযোগ পেতে হলে ‘জেইই অ্যাডভ্যান্স’ পরীক্ষায় ভাল র্যাঙ্ক দরকার।
ওই ফল এখনও প্রকাশ হয়নি। সর্বভারতীয় স্তরের ‘জেইই মেইন’ পরীক্ষায় ৩৯৪ র্যাঙ্ক করা দেবমাল্যের উদ্বেগ তা নিয়েই। দেবমাল্য বলেন, “আইআইটি-র খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির স্বপ্ন বরাবরের। জেইই অ্যাডভ্যান্সের ফলের উপর সেটা নির্ভর করছে। তাই উদ্বেগ কিছুটা আছেই।”
কোচবিহারের দক্ষিণ খাগরাবাড়ি এলাকায় দেবমাল্যদের বাড়ি। বাবা দিলীপ সরকার দিনহাটা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। মা ইলোরাদেবী কোচবিহার নিউটাউন গার্লসের শিক্ষিকা।
সরকার দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে দেবমাল্য ছোট। দাদা দীপাঞ্জন বিটেক পড়ছেন। উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি জয়েন্টের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে তাকে পাঁচ জন গৃহশিক্ষক সাহায্য করতেন। দিনে গড়ে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। অবসর সময়ে টিভিতে খেলা দেখা থেকে কম্পিউটারে পছন্দের ছবি দেখাও দেবমাল্যের শখ। প্রিয় অভিনেতা আমির খান। খেলাধূলোর মধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট বেশি পছন্দের। পছন্দের তালিকায় অনেকেই রয়েছেন।
ছেলের ভাল ফলের ধারাবাহিকতায় খুশি গোটা পরিবার। মা ইলোরাদেবী বলেন, “ওঁর বাবাও আইআইটিতে পড়াশোনা করেছেন। ছেলের ওই স্বপ্নটা পূরণ হলে আমাদের ষোল কলা পূর্ণ হবে।’’ দেবমাল্যও জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিকের তুলনায় র্যাঙ্ক এগিয়েছে। এতে ভাল তো লাগছে বটেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy