Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দীপাবলির আগে শব্দবাজি তুলকালাম

বাজি-বাজার কার, তরজা

নিষিদ্ধ শব্দবাজির ব্যবহার আটকানোর লক্ষ্যে আতসবাজির বাজার বসছে আজ, রবিবার থেকে। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের মাঠে সেই বাজারের উদ্যোক্তা কে তা নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা।

নিষিদ্ধ শব্দবাজির সম্ভার। ফাইল চিত্র।

নিষিদ্ধ শব্দবাজির সম্ভার। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৬
Share: Save:

নিষিদ্ধ শব্দবাজির ব্যবহার আটকানোর লক্ষ্যে আতসবাজির বাজার বসছে আজ, রবিবার থেকে। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের মাঠে সেই বাজারের উদ্যোক্তা কে তা নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। পুরসভার দাবি, গত তিন বছর ধরে দীপাবলির আগে তাদের উধ্যোগেই ওই বাজি বাজার চলছে। পুলিশের পাল্টা দাবি, ২০১৬ সালে পুরসভায় কোনও রাজনৈতিক দলের বোর্ড ছিল না। সেইসময় তত্কালীন রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব ছিলেন। শহরে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার ও ব্যবহার রুখতে ওই বছর দীপাবলি থেকেই পুলিশের উদ্যোগে পুরসভার প্রশাসক বাজি বাজার চালু করেন। এদিকে, বাজার চালুর ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির ফাটতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। ফলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, শহরে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার ও ব্যবহার রুখতে ২০১৬ সালে দীপাবলির আগে বাজি বাজার চালুর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। সেই সময় ওই বাজার চালুর ব্যাপারে তত্কালীন পুরসভার প্রশাসক বিভিন্ন সহযোগিতা করেছিলেন। এ বছরও পুরসভার সহযোগিতায় বাজি বাজার চালু থাকবে। তবে গোড়া থেকেই বাজি বাজার চালুর ধারণাটি পুলিশেরই। পুলিশের দাবি, শহরে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার ও ব্যবহার রুখতে ওই বাজারের বাইরে সমস্ত ধরনের বাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, বাইরে থেকে জেলায় শব্দবাজির প্রবেশ ও কারবার রুখতে জেলার ১০টি থানা এলাকায় পুলিশের নজরদারি, তল্লাশি ও অভিযান জারি রয়েছে।

পুরসভার পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাসের দাবি, বাজি বাজার নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। পুলিশের সহযোগিতায় পুরসভার উদ্যোগেই গত বছর থেকে দীপাবলির মুখে শহরে বাজি বাজার বসছে। পুরকর্তৃপক্ষ গত ১ নভেম্বর পুলিশ, ব্যবসায়ী, দমকল ও বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বছর বাজি বাজার চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। বাজার তৈরির জন্য পুরসভাই মাঠের ব্যবস্থা করেছে। পুরসভাই খরচ করে ব্যবসায়ীদের স্টল তৈরি করে দিয়েছে।

পুলিশের দাবি, কিছুদিন আগে শহরের সুরক্ষিত জায়গায় বাজি বাজার করতে রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা পুরপ্রধানকে চিঠি দেন। পুলিশের দাবি, পুলিশকর্মীরা ওই বাজি বাজারের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজ করবেন। পাশাপাশি, পুলিশের অনুমতি নিয়েই পুরসভাকে ওই বাজার তৈরির আয়োজন করতে হয়েছে। তাই ওই বাজার চালুর পিছনে পুলিশের উদ্যোগ অস্বীকার করা যায় না।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার ও ব্যবহার রুখতে পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার কথা দাবি করলেও এ দিন থেকেই শহরে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটতে শুরু করেছে। রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকার এক বাসিন্দার দাবি, এ বছরও যে দীপাবলিতে শহর জুড়ে দেদার নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটবে, তা এ দিন থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও গাফিলতির জেরেই এ দিন থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটতে শুরু করেছে। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ওই বাজিবাজার চালু থাকার কথা। শনিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ পুরসভার উদ্যোগে লটারি করে ওই বাজারে ব্যবসায়ীদের স্টল বিলিও করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Entrepreneur Market Fire Cracker Conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE