আক্রান্ত: এ ভাবেই ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র
ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল দিনহাটায়।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের পুটিমারি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। যুব তৃণমূলের সমর্থিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিষ্ণু দাস-সহ তার দুই আত্মীয়ের বাড়িতে মূল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। যুব তৃণমূলের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক আহ্বায়ক নারায়ণ শর্মা অভিযোগ করেন, ‘‘দলের ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেনের অনুগামীরা রাতে বিষ্ণুবাবু-সহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর করে। যুব তৃণমূলের পুটিমারী ২ অঞ্চল সভাপতি শামসুল মিয়াঁর এক আত্মীয়কেও মারধর করা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’ তৃণমূলের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেন অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি-সহ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।”
স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিষ্ণু দাস জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে একদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে এবং তাঁর কাকুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল ও যুব তৃণমূল এর মধ্যে ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে লড়াই শুরু হয় বলে অভিযোগ। যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিশীথ প্রামাণিক কে বহিষ্কারের পর দিনহাটা ১ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে যুব সমর্থিত নির্দলের টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা বেশিরভাগই মূল তৃণমূলে যোগদান করেন। তার পরেও সংঘর্ষ চলছে। বিষয়টি নিয়ে দিনহাটার এসডিপিও উমেশ গণপত বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy