Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ছবিতে মুন্নার পাশে রবি, বিতর্ক

রবীন্দ্রনাথবাবু অভিযোগ করেছেন, তাঁকে হেয় করার জন্য পর্দার পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন কয়েকজন। কিন্তু তারা কারা তা তিনি খোলাসা করেননি। মন্ত্রী বলেন, “দলের ও প্রশাসনের নানা অনুষ্ঠানে প্রতিদিন যাই। কলেজের অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। সেখানে বহু ছবি ওঠে। অনেকেই ছবি তোলেন। পরে যদি ওই ছবিতে থাকা কেউ কোনও অপরাধ করেন সে দায় কি আমার? এটা আসলে সুপরিকল্পিত একটা চক্রান্ত।”

প্রতিবাদ: মাজিদ-খুনের দোষীদের শাস্তি চেয়ে কোচবিহারে মোমবািত মিছিল। রবিবার সন্ধ্যায়। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

প্রতিবাদ: মাজিদ-খুনের দোষীদের শাস্তি চেয়ে কোচবিহারে মোমবািত মিছিল। রবিবার সন্ধ্যায়। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৮ ০২:০৬
Share: Save:

দিন কয়েক ধরে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ঘুরছিল সেই ছবি। গত দু’দিন ধরে সেই ছবির পোস্টার তৈরি করে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে শহরে। যে ছবিতে মাজিদ-খুনে অভিযুক্তদের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক নেতাকে দেখা যাচ্ছে। রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। তা নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে কোচবিহারে।

রবীন্দ্রনাথবাবু অভিযোগ করেছেন, তাঁকে হেয় করার জন্য পর্দার পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন কয়েকজন। কিন্তু তারা কারা তা তিনি খোলাসা করেননি। মন্ত্রী বলেন, “দলের ও প্রশাসনের নানা অনুষ্ঠানে প্রতিদিন যাই। কলেজের অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। সেখানে বহু ছবি ওঠে। অনেকেই ছবি তোলেন। পরে যদি ওই ছবিতে থাকা কেউ কোনও অপরাধ করেন সে দায় কি আমার? এটা আসলে সুপরিকল্পিত একটা চক্রান্ত।”

কোচবিহার কলেজের ভেতরে ও বাইরে ওই ছবি সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্টেশন মোড়, হরিশ পাল চৌপথী, কাছারি মোড় থেকে শুরু করে সাগরদিঘি পাড়ে পুলিশ সুপার ও পুরসভার অফিসের সামনেও ওই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। বহু ছবিতেই ধৃত মুন্না খানের সঙ্গে মন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে। মুন্না খানের সঙ্গে অভিযুক্তদের ছবিও রয়েছে। প্রাক্তন প্রয়াত পুরপ্রধান বীরেন কুণ্ডুর সঙ্গেও অভিযুক্তদের ছবি সাঁটানো হয়েছে।

পোস্টার যারা সাঁটিয়েছেন তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী বলেই পরিচিত। তাঁদের কথায়, “সবার জানা প্রয়োজন অভিযুক্তরা কাদের আশ্রয়ে বড় হয়েছে। কাদের জন্য তাদের আড়াল করে রাখা হচ্ছে।” যুব নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “ছাত্ররা পোস্টার সাঁটিয়েছে। সমাজবিরোধীদের আশ্রয়দাতা কারা তা দেখা যাচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত অভিযুক্তরা গ্রেফতার হোক।”

মাজিদকে খুনে অভিযুক্তরা তারা ওই কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র এবং টিএমসিপি কর্মী। মাজিদ যুব নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিকের অনুগামী বলেই পরিচিত ছিলেন। অভিজিৎবাবু জেলা রাজনীতিতে বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের ঘনিষ্ঠ। অভিযুক্তরা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য মুন্না খানের অনুগামী বলে পরিচিত। দীর্ঘ সময়ে পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ২৬ জুলাই রাতে ওই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মুন্না খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সাংসদ পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, “এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছি। বিষয়টি সঠিক জানি না। খোঁজ নেব। যদি আমাদের কেউ এই পোষ্টারের ব্যাপারে থাকে তাহলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Murder Majid Ansari Chairman Viral
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE