মঞ্চে: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের মাথায় ছাতা ধরে শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু। এতেই বেধেছে বিতর্ক। ছবি: নারায়ণ দে
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের মাথার উপরে এক শিক্ষকের ছাতা ধরার ঘটনায় বিতর্ক বেধেছে আলিপুরদুয়ারে। সোমবার জেলা আন্তঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই ঘটনার পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ তবে তাঁর মাথায় কেউ ছাতা ধরেছেন, তেমন কথাই মানতে চাননি মানিকবাবু৷
এ দিন দুপুর বারোটার সময় আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ সংসদ সূত্রে খবর, মানিকবাবু পৌঁছনোর পর একটা নাগাদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই হয় মার্চপাস্ট৷ তাতে যোগ দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাদন গ্রহণ করতে ছোট একটি মঞ্চে ওঠেন মানিকবাবু, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী-সহ অন্যরা৷ অভিযোগ, তখনই অভিজিৎ কুণ্ডু নামের পরোরপাড় এলাকার এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককে দেখা যায় রোদ থেকে বাঁচতে ঠায় মানিকবাবুর মাথার উপরে ছাতা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে৷
শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তাঁদের অভিযোগ, সবাই যেখানে রোদে দাঁড়িয়ে সেখানে এমন দৃষ্টান্ত দৃষ্টিকটু। অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদও শুরু করেছেন৷ সিপিএম প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন এবিপিটিএ-র জেলা সম্পাদক শুভাশিস বর্ধনের ক্ষোভ, “ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক৷ সব কিছুর পেছনেই একটা মানবিকতা কাজ করে৷ কিন্তু ওনাদের মানবিক দিকটাই নেই৷”
যদিও অভিযোগ মানতে চাননি মানিকবাবু৷ তাঁর কথায়, “খেলোয়াড়েরা রোদে-বৃষ্টিতে মাঠের মধ্যে থাকেন এটাই স্বাভাবিক৷ তা বলে আমার মাথায় উপরে কেউ ছাতা ধরেননি৷ মিথ্যা অভিযোগ করা করা হচ্ছে৷” তবে যে শিক্ষক ছাতা ধরেছিলেন, সেই অভিজিৎবাবু মঞ্চের দিকে ইশারা করে করে বলেন, “ওখান থেকে কয়েকজন আমায় ছাতা ধরতে বলেছিলেন, তাই ধরেছিলাম৷”
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অনুপবাবু অবশ্য বলেন, “রোদের মধ্যে অসুস্থ বোধ করার জন্য হয়তো কেউ নিজে থেকে তাঁর মাথায় ছাতা ধরেছেন৷ মার্চপাস্টের সময় তা খেয়াল করিনি৷ তাছাড়া আমাদের তরফে কেউ কাউকে ছাতা ধরতে বলেননি৷”
এ দিন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মানিকবাবু জানান, শূন্যপদে আবারও শিক্ষক নিয়োগ হবে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy