Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

একদিনে আক্রান্ত ৩২, চিন্তায় প্রশাসন

এ দিনই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৪:১৩
Share: Save:

পাঁচ দিন ধরে কোনও রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছিল না। তা নিয়ে উদ্বেগ ছিলই। শুক্রবার রিপোর্ট আসার পরে দেখা গেল আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ জন!

এ দিনই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। আক্রান্ত ওই ৩২ জনের মধ্যে দিনহাটা মহকুমার বাসিন্দা রয়েছেন ২৯ জন। বাকি ৩ জন কোচবিহার সদর মহকুমার পুন্ডিবাড়ির বাসিন্দা। ওই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে কার্যত বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের অনেকেই দাবি করেন, দ্রুত পরীক্ষা এবং রিপোর্ট হাতে পেলে একসঙ্গে এত জন আক্রান্তের ভিড়কে সামলাতে হয় না। শুধু তাই নয়, ভিন্ রাজ্যের বিভিন্ন রেড জ়োন থেকে যে ভাবে পরিযায়ী শ্রমিক কোচবিহারে ঢুকছেন তাঁদের সবার পরীক্ষা করা হলে অবস্থা কী দাঁড়াবে তা ভেবেও উদ্বেগ বেড়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে, তাঁদের কোনও উপসর্গ নেই। তাই দ্বিতীয় বার পরীক্ষা করা হবে।” কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের বেশিরভাগই মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। বাকি কয়েকজন এক আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাঁদের কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। বাকি যাঁরা বাইরে রয়েছেন তাঁদেরও পৃথক ভাবে রাখা হচ্ছে। ওই আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা এসেছেন তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কোচবিহারে একদিনে বড় সংখ্যায় আক্রান্ত হল কী করে? যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের চিহ্নিত করতেই বা এত দেরি হল কেন? স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোচবিহারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৫৮৭ জনের লালারস পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৩৬৩৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানানো হয়েছে। এ দিন আরও বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট জানানো হয়।

অভিযোগ উঠেছে, ঠিক যে সময় থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা কোচবিহারে ঢুকতে শুরু করেছেন তখন থেকেই পরীক্ষার রিপোর্ট ঢিমেতালে আসতে শুরু করে। প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে কোচবিহারে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে হাতেগোনা একটি অংশের লালারস সংগ্রহ করা হয়। সেই লালরস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও সব রিপোর্ট এখনও জানা যায়নি। তার বাইরে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট থেকে শুরু করে একাধিক রেড জ়োন থেকে ফিরেছেন। আরও অভিযোগ, গত পাঁচ দিন ধরে কোনও রিপোর্ট কোচবিহারে পৌঁছয়নি। যার জন্যই একসঙ্গে এতগুলি আক্রান্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়। প্রতিদিন কিছু কিছু করে লালারসের পরীক্ষা হলে সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ দিন ৫৮ জনকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE