মসজিদ চত্বরে ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক।—ছবি পিটিআই।
দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া উত্তর দিনাজপুরে আটক ১৩ জনকে কলকাতায় পাঠানো হল। বুধবার রাতের ঘটনা। সকলেই হুগলি জেলার চন্দননগরের বাসিন্দা। বুধবার বিহারের পূর্ণিয়া হয়ে ডালখোলায় ঢোকার পথে পুলিশ তাঁদের আটক করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের কলকাতার রাজারহাটে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়।
অন্য দিকে, নিজামুদ্দিনে যোগ দেওয়া মালদহের ১০ বাসিন্দারও খোঁজ মিলল। যদিও তাঁরা সমাবেশ থেকে মুম্বই গিয়েছেন। সেখানেই আপাতত কোয়রান্টিনে রয়েছেন তাঁরা।
তবে উত্তর দিনাজপু জেলার থেকে কত জন মোট ওই সমাবেশে গিয়েছিলেন তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দু’জনের নাম এসেছে। গোয়েন্দা দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে। পড়শি জেলা বিহারের কিসানগঞ্জেও মিলেছে দিল্লির সমাবেশে যোগ সূত্র। এ নিয়ে নতুন করে জেলার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
কিসানগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ থেকে ১১ জন ফিরেছেন। তাঁরা সকলে বিদেশি নাগরিক। ২২ মার্চ দিল্লি থেকে কিসানগঞ্জে ফেরেন তাঁরা। তাঁদের কোয়ারান্টিন শিবিরে পুরো নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কারা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন তার খোঁজ চলছে।
এ দিকে বিহার বাংলা সীমান্তে নাকা চেকিং চলছে। সীমান্ত এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ, বিহারের পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত কো-অর্ডিনেট করছে। কিসানগঞ্জ থেকে যাতে এই জেলায় কেউ প্রবেশ না করতে পারেন সেই বিষয়ে নজরদারি চলছে। মঙ্গলবার দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনা সামনে চলে আসায় তৎপর হয় পুলিশ। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় আটক করা হয় ১৩ জনকে। ইসলামপুর জেলা পুলিশ সুপার সচিন মক্কার জানান, আটকরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা দিল্লির সমাবেশ থেকে ফিরেছেন। উত্তরপ্রদেশ হয়ে বিহার হয়ে এই রাজ্যে ঢুকেছেন।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “জেলায় নিজামুদ্দিন ফেরত কেউ আছেন কিনা তা আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’’
এ দিকে মালদহের যে বাসিন্দারা নিজামুদ্দিনে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে, পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁদের বাড়ি কালিয়াচক, সুজাপুর এবং বৈষ্ণবনগর এলাকায়। তাঁরা নিজামুদ্দিন থেকে মালদহে না ফিরে সরাসরি চলে গিয়েছিলেন মুম্বইতে। পরে লকডাউনের জেরে সেখানে আটকে পড়েন। মালদহ জেলা পুলিশ ওই ১০ জন সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য মহারাষ্ট্র পুলিশকে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা এখন মুম্বইয়ে সরকারি কোয়রান্টিনে আছেন।
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “জেলার আরও কেউ নিজামুদ্দিনে যোগ দিয়েছিলেন কিনা সেটাও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নিজামুদ্দিন থেকে মালদহে ফেরা কারও সন্ধান আমাদের কাছে নেই। খোঁজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy