ফাইল চিত্র
আজ, রবিবার ১৪ ঘণ্টার জনতা কার্ফুর আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আর্জি মেনে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজনও এই রবিবার বাড়িতে থেকে ‘চেন ব্রেক’ করার দাবি জানিয়েছেন। ফলে অধিকাংশ বাসিন্দাই যে কার্যত গৃহবন্দি থাকবেন, তা প্রায় স্পষ্ট। কিন্তু এই ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে কোনও নজরদারি চালানো হবে না বলেও জানানো হয়েছে। স্বাভাবিক থাকছে সমস্ত ধরনের বাস চলাচল। তবে কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে খবর।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘এটা যে হেতু কোনও নির্দেশিকা নয়, তাই আমাদের তরফে নজরদারি রাখা হচ্ছে না। মানুষ স্বেচ্ছায় ঘরে থাকবেন কি না, সেটা তাঁদের বিষয়। আমরা শুধু নজর রাখছি, বাইরে থেকে কারা জেলায় এল, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা যাতে ঠিকমতো হয় তার উপরে।’’
প্রশাসনের একটি অংশ বলছে, এ ভাবে প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করে কার্যত গৃহবন্দি করতেও পারে না। প্রধানমন্ত্রীও তাই আর্জিই রেখেছেন, কোনও নির্দেশ দেননি। তাই এই ব্যাপারে নজরদারিও সম্ভব নয়। উত্তর ও দক্ষিণ, দুই দিনাজপুরের প্রশাসনও তাই আলাদা করে নজরদারি কিছু করছে না বলে জানিয়েছে। পরিবহণও স্বাভাবিক থাকছে।
উত্তর দিনাজপুরের বাসমালিক সংগঠনের সহ-সম্পাদক উৎপল বসাক বলেন, ‘‘বাস বন্ধের পরিকল্পনা নেই। তবে বাসের চালক ও কন্ডাক্টর না এলে চালানো হবে না।’’ এনবিএসটিসি-ও সূচি মেনেই বাস চালাবে। তবে করোনার জন্য বালুরঘাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আজ বন্ধ থাকছে বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছে। রাধিকাপুর থেকে কলকাতা, দিল্লির মতো বিভিন্ন রুটের সমস্ত ট্রেনের চলাচল বন্ধ রেখেছে রেল।
করোনা রুখতে দেশের প্রধানমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন, যাতে রবিবার ১৪ ঘণ্টা জনতা কার্ফু হয়। এই ‘সেল্ফ আইসোলেশন’ করোনাভাইরাসের বাড়বৃদ্ধি ঠেকাতে সাহায্য করবে বলেই তাঁর দাবি। প্রধানমন্ত্রীর এই আর্জি মেনে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ বাসিন্দাই রবিবার গৃহবন্দি থাকবেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। পাশাপাশি ‘ব্রেক দ্য চেন’ বলে ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy