Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Coronavirus

অনেক বাগান বন্ধ, তবু বিভ্রান্তি রইলই

আলিপুরদুয়ার জেলার কেউ নোটিস দিয়ে বাগান বন্ধ করেননি। প্রায় সব বাগানেই করোনা আতঙ্কে শ্রমিকেরা নিজেরাই কাজে যাননি।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৫:১৫
Share: Save:

বেশিরভাগ চা বাগান বন্ধ থাকল। কিছু চা বাগানে কাজও হল। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও চা বাগানে কী হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি থেকেই গেল। প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার মালবাজারের চারটে বাগান খোলা ছিল। এ ছাড়া প্রায় সব বাগানই বন্ধ ছিল। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই জেলা প্রশাসনের তরফেই শ্রম দফতরের কাছে চা বাগান নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা চাওয়া হয়েছিল। বুধবার সন্ধে পর্যন্ত সেই নির্দেশিকা আসেনি।

আলিপুরদুয়ার জেলার কেউ নোটিস দিয়ে বাগান বন্ধ করেননি। প্রায় সব বাগানেই করোনা আতঙ্কে শ্রমিকেরা নিজেরাই কাজে যাননি। তবে দু’একটি বাগানে শ্রমিকেরা ২৭ মার্চ পর্যন্ত কাজে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে মালিকপক্ষ কোনও বাগান বন্ধ না করায় শ্রমিক কর্মচারীরা উদ্বেগে রয়েছেন। প্রশ্ন এখন মজুরি নিয়ে। প্রশাসন না মালিকপক্ষ, কে মজুরি দেবেন তা নিয়ে টানাপড়েন চলছে। এই অবস্থায় মালিকপক্ষ তাঁদের স্বাস্থ্য এবং আর্থিক সুরক্ষা দেবে কি না, সেটা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। তবে মালিকপক্ষের অনেকেই জানালেন, সরকারি ভাবে বাগান বন্ধ বা শ্রমিকদের আর্থিক সুরক্ষা কী ভাবে মিলবে, সে ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।

আলিপুরদুয়ার জেলায় ৬৪টি চা বাগান রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় বাগানের সংখ্যা ৯২। অচলাবস্থায় বা ধুঁকতে থাকা বাগানের সংখ্যা সব মিলিয়ে ২০। মঙ্গলবার পর্যন্ত বেশির ভাগ চা বাগানে কাজ হলেও বুধবার জেলার কোনও বাগানেই শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেয়নি। শ্রমিক সংগঠনগুলির সাফ কথা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে চান না তাঁরা। চা শ্রমিক শনিয়া ওরাও, বিমল খড়িয়া বলেন, সারা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই বলেছেন বাড়িতে থাকতে। বিশেষ দরকার ছাড়া বাড়ির বাইরে না বের হতে। তাই তাঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজে যোগ দেননি।

জেলার কোহিনূর চা বাগানের শ্রমিকেরা মঙ্গলবারই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মালিকপক্ষকে জানিয়ে দিলেন, লকডাউন চলাকালীন কাজে যাবেন না তাঁরা। রায়ডাক চা বাগানে শ্রমিকদের দাবিতে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বাগান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বাগান বন্ধ থাকার সময়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং আর্থিক সুরক্ষার দাবি জানান সবাই। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক কর্তার মন্তব্য, “দেখা যাক কী নির্দেশ আসে। তারপরে চলতি সপ্তাহেই মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE