Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
আজ থেকে লকডাউন
Coronavirus

নির্দেশ অমান্যে কড়া ব্যবস্থা

রবিবার দুপুরে রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের জেলা সদর এবং পুর শহরগুলিতে জরুরি ছাড়া সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০ ০৭:২৬
Share: Save:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো প্রতিহত করতে আগামী পাঁচদিনের জন্য রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় মতো পুরোপুরি বন্ধ (লকডাউন) হয়ে যাচ্ছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরও। পাহাড়েও লকডাউনের নির্দেশিকা জারি করেছে জিটিএ কর্তৃপক্ষ। তবে এর আওতায় থাকছে না জরুরি পরিষেবাগুলি।

রবিবার দুপুরে রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের জেলা সদর এবং পুর শহরগুলিতে জরুরি ছাড়া সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়। আজ, সোমবার বিকেল পাঁচটার পর থেকে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত পুর শহরগুলি লকডাউন থাকবে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা বিক্ষোভ দেখানোর মতো অপরাধে কাউকে দোষী পাওয়া গেলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নম্বর ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। এই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ১ মাসের জেল এবং জরিমানার সংস্থান রয়েছে।

দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান এবং পরিষেবা খোলা থাকবে। হঠাৎ করে যেন বাজারে মজুত করার প্রবণতা না তৈরি হয় তারজন্য কড়াভাবে দুর্নীতি দমন শাখা নজর রাখবে। এর জন্য রবিবারই প্রস্তুতি শুরু করে জেলা প্রশাসন। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন, ‘‘আতঙ্কে প্রচুর জিনিস একসঙ্গে কিনতে যেন কেউ না যায়, তা নজর রাখা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য কিছু পরিবহণ পরিষেবা চালু রাখার।’’

বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে এ দিনই জরুরি বৈঠকও করেন সরকারি আধিকারিকরা। লকডাউনকে ‘আন্তরিকভাবে স্বাগত’ জানিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ইতালির পরিস্থিতি দেখেই এই পদক্ষেপ অনেক আগেই করতে হতো। শিলিগুড়ি পুরসভা পানীয় জল, জঞ্জাল, স্বাস্থ্য এবং আলোর মত জরুরি পরিষেবা চালু রাখবে। আর কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবা চালু রাখা দরকার। তা শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।’’

লকডাউনের প্রস্তুতি রবিবার বিকেল থেকেই শুরু করেছে জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলা প্রশাসনও। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন এ দিন। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার বন্ধ রাখা হবে না। যেমন দিনবাজার, স্টেশনবাজারের মতো বাজারগুলি খোলা থাকবে। তবে বাজারের সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। কবে কোন বাজার খোলা থাকবে তারও তালিকা হতে পারে। আজ সোমবার ফের বৈঠকে বসছে প্রশাসন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি জেলায় শুধু জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকাতে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার খোলা রাখার কথাই ভাবা হয়েছে। না হলে আতঙ্ক বাড়বে। তবে বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ চালু করা হবে।”

জিটিএর চেয়ারম্যান অনিত থাপা জানান, পাহাড়ে লকডাউন একঘণ্টা আগে থেকে অর্থাৎ বিকেল ৪টে থেকে কার্যকর করা হবে। দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক, কালিম্পংয়ে এই সময়ে ট্যাক্সি চলবে না, বাণিজ্যকেন্দ্রগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE