প্রতীকী ছবি
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবার ছ’জনের লালারসে করোনাভাইরাসের খোঁজ মিলল মালদহে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এদের মধ্যে চার জনের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকে। অন্য দু’জন রতুয়া এবং ইংরেজবাজারের বাসিন্দা। তাঁদের বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মালদহের নারায়ণপুর বাইপাসের কোভিড হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসর্গহীন করোনা পজ়িটিভ রোগীদের জন্য নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারগুলিতে ভর্তি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬ জনে। আর জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মানিকচকে, ২২ জন। তবে বৃহস্পতিবারই মানিকচকের ব্রাহ্মণগ্রাম ও ভুতনির দুই বাসিন্দা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দফতর জানায়, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের আক্রান্ত চার জনের মধ্যে দু’জনের বাড়ি সুলতাননগর পঞ্চায়েতের চকসাতানে। দু’জনই দিল্লিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। সম্প্রতি তাঁরা গ্রামের আরও ৯ জনের সঙ্গে ট্রাকে মালদহে ফেরেন। মালদহ পলিটেকনিক কলেজের কোয়রান্টিনে লালারসের নমুনা সংগ্রহের পর তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। বুধবারই রিপোর্ট আসে। আর বৃহস্পতিবার তাঁদের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্লকেরই দৌলতপুরের এক যুবকের রিপোর্টও পজ়িটিভ এসেছে। তিনি মহারাষ্ট্রে কাজ করতেন। জেলার অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে ট্রাকে মালদহে ফেরেন। আর এক আক্রান্তের বাড়ি ব্লকের ভৈরবপুরে। ওই যুবক চার দিন আগেই মহারাষ্ট্র থেকে ট্রাকে জেলায় আসেন। লালারসের নমুনা সংগ্রহের পর তিনিও হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন। এই দু’জনকেও হরিশ্চন্দ্রপুর আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবারই অন্য আরেক জন, রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দাটোলা পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুরের এক যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি মুম্বই থেকে ফিরে হোম কোয়রান্টিনেই ছিলেন। এ দিন তাঁকে মানিকচকের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অপর আক্রান্ত ইংরেজবাজার ব্লকের বাগবাড়ির বাসিন্দা। চারদিন আগে ফেরার পর তাঁকে মালদহ পলিটেকনিক কলেজের সরকারি কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালেই পলিটেকনিক কলেজ থেকে তাঁকে নারায়ণপুর বাইপাসে থাকা জেলা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে।’’ আর মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত জেলার ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। সেটাই আশার কথা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy