প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে শুনশান রাস্তায় চলছে পুলিশের টহল। লকডাউন ভেঙে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই ছবি মোবাইল ক্যমেরায় তুলতে গিয়ে ধরা পড়লেন মাস্ক-হীন এক যুবক। তাঁকে ধরে করোনা পরীক্ষার অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে যায় পুলিশ। অ্যান্টিজেন কিটে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতেই রিপোর্ট আসে পজ়িটিভ। উপসর্গ না থাকায় তাঁকে পাঠানো হয় গৃহ-নিভৃতবাসে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “লকডাউনে ঘুরতে বেড়িয়ে ওই যুবক বাড়ি ফিরলেন করোনা নিয়ে।”
বৃহস্পতিবার লকডাউনে বিধিভঙ্গকারীদের এ ভাবেই করোনা পরীক্ষা করিয়ে দাওয়াই দিল মালদহের কালিয়াচক থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে দিনভর প্রচার চালানো হচ্ছে। লকডাউনে ধরপাকড় থেকে শুরু করে আইন ভাঙা লোকেদের ভিড় হঠাতে প্রয়োজনে লাঠিও তোলা হচ্ছে। তবুও লকডাউন ভেঙে অনেকের রাস্তায় বের হওয়ার প্রবণতা কমছে না। এমন অবস্থায় ধরপাকড়, লাঠির বদলে লকডাউন ভঙ্গকারীদের করোনা পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
এ দিন কালিয়াচকের চৌরঙ্গী মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ত্রিপলের ছাউনির নীচে তৈরি করা হয় করোনা পরীক্ষার অস্থায়ী শিবির। সেখানে পিপিই পরে ছিলেন ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। লকডাউনে রাস্তায় যাঁরা বেড়িয়েছেন তাঁদেরই ধরে ধরে করোনা পরীক্ষা
করা হয়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ভাবে এ দিন ৪০৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে এক জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁকে গৃহ-নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পারভেজ আলম। তিনি বলেন, “ওই পদ্ধতিতে পরীক্ষার দশ মিনিটেই রিপোর্ট জানা যায়। উপসর্গ না থাকায় সংক্রমিত ওই যুবককে গৃহ-নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। ফের তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হবে।’’
লকডাউন ভঙ্গকারীদের করোনা পরীক্ষা করানোর খবর ছড়াতেই ভিড় উধাও হয় চৌরঙ্গী মোড়ে। পুলিশের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন কালিয়াচকের একাংশ বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, সংক্রমিত হলেই রোগীগের সেফ হোম বা গৃহ-নিভৃতবাসে পাঠানো হচ্ছে। সেই ভয়ে অনেকেই করোনা পরীক্ষা করাতে যেতে চাইছেন না।
মালদহের ডিএসপি (সদর) প্রশান্ত দেবনাথ বলেন, “অপ্রয়োজনীয় কারণে যাঁরা লকডাউনে রাস্তায় বেড়িয়েছেন, তাঁদের আটক করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy