—ফাইল চিত্র।
করোনা সংক্রমণে সেঞ্চুরি হাঁকাল উত্তর দিনাজপুরও।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে পাঠানো রিপোর্টগুলি তাদের হাতে এসে পৌঁছয়। দেখা যায়, মালদহ থেকে আসা রিপোর্টে ৩০ এবং উত্তরবঙ্গ থেকে আসা রিপোর্টে ৮ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে। এঁদের অনেকেই করোনা কবলিত মহারাষ্ট্র থেকে এসেছেন। বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। প্রশাসন সূত্রের খবর, আক্রান্তদের বাড়ি রায়গঞ্জ, ইটাহার, হেমতাবাদ, করণদিঘি ও ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তদের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে না। বদলে আইসিএমআরের নিয়মে তাঁদের ৭ থেকে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে রাখা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। আর তাতেই করোনায় আক্রান্তদের থেকে তাঁদের পরিবারের লোকজন ও পড়শিদের মধ্যে গোষ্ঠীর সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, বৃহস্পতিবার রাতে জেলার যে ৩৮ জন বাসিন্দার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট মিলেছে, তাঁদের কাছ থেকে ১০-১২ দিন আগে লালারস সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট আসতে দেরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ওই ৩৮ জন বাসিন্দার মধ্যে কোনও উপসর্গ মেলেনি। তাই আইসিএমআরের গাইডলাইন মেনে তাঁদের ৭ দিনের হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। ১৪ দিনের মধ্যে তাঁদের কারও জ্বর বা শারীরিক বাহ্যিক কোনও উপসর্গ মনে হলে, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ভিন্ রাজ্য থেকে জেলায় ফেরা বেশির ভাগ শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে না। তাঁদের জ্বর নেই, তা নিশ্চিত হয়েই তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও করোনায় আক্রান্তদের কোভিড হাসপাতালের বদলে বাড়িতে রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় কী, তা-ও কিছু ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। অনেকেই বলেছেন, একেও তো যাঁরা বাইরে থেকে ফিরেছেন, কোয়রান্টিনে থাকতে বললেও তাঁরা বেশিরভাগই তা মানেননি। এখন করোনা ধরা পড়ার পরেও যদি একই ভাবে মেলামেশা চালিয়ে যান, তা হলে বিপদ বাড়বেই।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের অবশ্য দাবি, ‘‘আইসিএমআরের প্রোটোকল মেনেই জেলায় করোনা আক্রান্তদের
চিকিৎসা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy