—প্রতীকী ছবি
কয়েক দিন ধরেই জেলায় কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও। দফতরের আধিকারিকদের অনেকের বক্তব্য, দুর্গাপুজোর পরে করোনার ‘সুনামি’ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।
এমন পরিস্থিতি নিয়ে ধন্দে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্তারাও। এর কারণ পর্যালোচনার চেষ্টা করলেও নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে তাঁরা পৌঁছতে পারেননি। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। করোনা নিয়ে আগের চেয়ে বেশি সতর্কও হয়েছেন তাঁরা। সে সব কারণেই কমছে সংক্রমণ। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ানের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, মঙ্গলবার ও বুধবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১৮ ও ৩৭। দু’দিনে সুস্থ হয়েছেন ৯৪ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে সচেতনতা আগের থেকে অনেকটা বেড়েছে। তা আরও বাড়াতে পারলে ফল ভাল হত। সেই সঙ্গে দ্রুত পরীক্ষা ও চিহ্নিতকরণের বিষয়ও রয়েছে।”
কোচবিহারে এখনও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কিন্তু সরকারি, বেসরকারি অনেক অফিস খোলা। খোলা দোকানপাট, বাজার। প্রতি দিনই বাজারে ভিড় জমছে। স্বাস্থ্য দফরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কারও জ্বর-সর্দি কাশি হলেই তিনি দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। কেউ কেউ নিজেরাই করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন। সেই কারণ আক্রান্তের খোঁজও মিলছে দ্রুত। সে কারণে সংক্রমণ ছড়ানো অনেকটাই আটকানো সম্ভব হচ্ছে।
দিনহাটা হাসপাতালের চিকিৎসক উজ্জ্বল আচার্্যম বলেন, “প্রায় এক বছর হতে চলল করোনা থাবা বসিয়েছে জেলায়। এখন মানুষ অনেক সচেতন। সেই সঙ্গে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy