প্রতীকী ছবি।
কোভিড পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে অ্যাপ চালু করল স্বাস্থ্য দফতর। ‘কোভিড টেলিমেডিসিন’ নামের ওই অ্যাপ গোটা রাজ্যে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ ব্যবহার করেছেন বলে দফতরের দাবি। কোচবিহারের মতো জেলাতেও যাতে অ্যাপের সুবিধে সবাই নিতে পারেন সে বিষয়ে প্রচার শুরু হয়েছে।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাপে কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলে ওই অ্যাপের মাধ্যমেই তিনি পৌঁছে যেতে পারবেন স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। এর পরে প্রয়োজনমতো সমস্ত ব্যবস্থা নেবে দফতর। জেলাশাসক পবন কাদিয়ান সবাইকে ওই অ্যাপের সুবিধে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, “ওই অ্যাপটি সমস্ত নাগরিকদের জন্য।”
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় অ্যাপ চালু করা হয়েছে। ঠিক কী রয়েছে ওই অ্যাপে? বলা হচ্ছে, এটির মাধ্যমে কোভিড কী কী ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তার তথ্য দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছে, জনসমাগম, ব্যক্তিগত স্পর্শ এবং যে কোনও বস্তুর মাধ্যমে কোভিড ছড়িয়ে পড়তে পারে। তা প্রতিরোধে আগাম কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছে। মাঝেমাঝেই হাত ধুয়ে নেওয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, অসুস্থ মানুষের যোগাযোগ এড়িয়ে চলা এবং আবরণ দিয়ে কাশি বা হাঁচি আটকানো। এর পরেই সেখানে নিজের নাম-ফোন নম্বর নথিবদ্ধ করতে হয়। সেই সঙ্গে নিজের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য সেখানে দিতে হয়। তাতে যেমন কো-মর্বিডিটির কথা আছে, তেমনই করোনার লক্ষণ নিয়েও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে দফতরের তরফ থেকে ওই বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। প্রয়োজনে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
প্রশাসন মনে করছে, বড় শহরগুলির সঙ্গে কোচবিহারের মতো জেলাও ওই অ্যাপের মাধ্যমে অনেকটাই উপকার পাবে। অ্যাপে নাম নথিভুক্ত থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে বিষয়ে সাহায্য মানুষ পেতে পারেন। অনেকেই স্বাস্থ্য দফতরে ফোন নম্বরে ফোন করেও অনেক সময় সহযোগিতা পাওয়া যায় না। অ্যাপের ক্ষেত্রে তেমন যাতে না হয় সে বিষয়ে নজর রাখা হবে। মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “ওই অ্যাপসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy