প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের চা বাগানগুলিতে এ বার থেকে ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজের অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। সোমবার দুপুরে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা নির্দেশিকা জারি করেন। গত রবিবার রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে বাগানের কাজে মঞ্জুর করা ২৫ শতাংশ থেকে শ্রমিক সংখ্যা ৫০ শতাংশ করার আবেদন করেছিলেন।
সরকারি সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই নবান্নের অন্দরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। প্রথমে রাজ্য সরকার ১৫ শতাংশ শ্রমিকের অনুমতি দেয়। সামাজিক দূরত্ব থেকে মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলা হয়। বহু জায়গায় তা হলেও কোথাও কোথাও তা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। ১২ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যাটা ২৫ শতাংশ বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু তাতেও ঠিকঠাক কাজ করা যাচ্ছিল না বলে সমস্যা তৈরি হয়।
বিভিন্ন মালিকপক্ষ, শ্রমিক সংগঠনের তরফেও নানাভাবে আবেদন এসেছিল। সকলের বক্তব্য ছিল, কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শ্রমিককে কাজে নামানোর অনুমতি না মিললে লকডাউনে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল। এ দিনের সরকারি সিদ্ধান্তের পর বাগানের কাজ পাওয়া নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ কিছুটা কমবে বলে মনে করছন অনেকে। মুখ্যসচিব যে নির্দেশিকা জারি করেছেন তাতে বাগানের পাতা তোলা ছাড়াও অন্য কাজের জন্য ওই সংখ্যক শ্রমিক ব্যবহার করা যাবে বলে বলা হয়েছে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সব সময় যা রাজ্যের মানুষের জন্য দরকার সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমি মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলাম। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত বাগান কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সবাই উপকৃত হবেন।’’
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী নিজেও একজন চা শিল্পপতি। গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে চা বাগানে ৫০ শতাংশ শ্রমিককে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, “চা শ্রমিকদের দাবি মেনেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম।’’ ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “ছোট বাগানগুলিকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।’’ বাগানের মালিক সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক অমিতাংশু চক্রবর্তীও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy