—ফাইল চিত্র।
মাত্র দু’দিনেই উত্তর দিনাজপুরের শুধু করণদিঘি ব্লকেই আক্রান্ত হলেন ৪৫ জন। প্রশাসন জানায়, জেলার মধ্যে এই ব্লকেই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। আবার উদ্বেগ বাড়িয়ে সংক্রমণ শুরু হয়েছে ইসলামপুর পুরএলাকাতেও। বৃহস্পতিবার তিনজনের পর শুক্রবারও একজন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এক দিকে, আক্রান্ত শ্রমিকদের একাংশের অসচেতনতা, অন্য দিকে, সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাব—সব মিলিয়েই জেলার করোনা-চিত্র ক্রমে খারাপ হচ্ছে বলেই দাবি বাসিন্দাদের।
প্রশাসন সূত্রে খবর, করণদিঘির আক্রান্তরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা মুম্বই, পঞ্জাব, রাজস্থান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। আর তাঁদের মধ্যে বেশিতভাগই রাঘবপুর এলাকার। তবে বেশিরভাগ রোগীর কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না, তাতেই চিন্তা বেড়েছে, জানালেন প্রশাসনের এক আধিকারিক। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এ নিয়ে কিছু না জানালেও আক্রান্তদের যে স্কুলে কোয়রান্টিন করে রাখা হয়েছিল সেটি সিল করা হয়েছে বলে খবর।
করণদিঘির বাসিন্দারা জানালেন, প্রথম দিকে রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই যে ভাবে পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা-কর্মীরা সক্রিয় হতেন, তা বাইরে থেকে আসা বাসিন্দাকে পরীক্ষা করে নজরবন্দি করা হোক বা আক্রান্তকে এনে দ্রুত কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা——এখন তা অতটা দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের ক্ষোভ, একেই শ্রমিকদের শুধু লালারস সংগ্রহ করে হোম কোয়রান্টিনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেভাবে চলছে না নজরদারিও, আর তার জেরেই তাঁরা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বাইরে ঘুরছেন। করণদিঘি নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ রকম চলতে থাকলে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে যাবে।’’ সরব হয়েছেন বিজেপির টাউন সভাপতি সন্দীপ ভট্টাচার্য, সিপিএমের এক নম্বর এলাকা কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাসও। তাঁদের কথায়, পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। আর এ জন্য দায়ী সরকারি নীতিই।
তার উপর অভিযোগ, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চললেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। মাস্ক ব্যবহার তো দূর অস্ত, তাঁরা নূন্যতম সামাজিক দূরত্বও মানছেন না বলে জানালেন স্থানীয়রা।
করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ বলেন, ‘‘আক্রান্ত এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। নিয়মিত নজরদারি চলছে।’’ আর ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘আক্রান্তরা চার জনই মুম্বই থেকে সম্প্রতি ইসলামপুরে ফিরেছেন। তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছিল। করোনা রুখতে প্রশাসন সব রকম চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy