আগেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন একজন। ফের ওই একই কারণে একজনের মৃত্যু হল জলপাইগুড়িতে৷ এই নিয়ে জেলায় জ্বরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই৷ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন জেলার কয়েকশো মানুষ৷ যাঁদের মধ্যে অনেকেই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে৷
জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে শুক্রবার রাতে রংধামালী এলাকার বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া অরুণা রায় (৬৭) হাসপাতালে ভর্তি হন৷ ভর্তির খানিক ক্ষণ পরেই ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়৷ হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ়া কয়েক দিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন৷ শুক্রবার রাতে তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাঁর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল৷ পাশাপাশি তাঁর শরীরে জীবাণুর সংক্রমণের ঘটনাও ঘটেছিল বলে সুপার জানিয়েছেন৷ শুধুমাত্র জ্বরের কারণেই ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুপার৷
একইভাবে বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি দেশবন্ধু পাড়া এলাকার এক বাসিন্দাও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷ জ্বরের ধরন খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই সঞ্জীব মণ্ডল নামের ওই ব্যক্তির ভিসেরা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা৷
জলপাইগুড়িতে জ্বরের প্রকোপ ক্রমশ বেড়েই চলছে৷ ঘরে ঘরে জ্বর ও সঙ্গে মাথা যন্ত্রণার ঘটনা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যেও৷ প্রতিদিনই জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের লম্বা লাইন পড়তে থাকায় সমস্যায় পড়ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরাও৷ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সাধারণ বিভাগে যেখানে ২০০টি বেড রয়েছে, সেখানে এই মুহূর্তে রোগীর সংখ্যা তিনশোর কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে৷ রোগীদের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের সুপার জানান, অন্য বিভাগে কোনও শয্যা ফাঁকা থাকলেও সেখানে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা সমস্যা। ফলে শয্যা কম থাকলেও নির্দিষ্ট বিভাগেই একই শয্যায় দু’জনকে রেখে বা কোনও রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে৷ এই অবস্থাতেও জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা দাবি করছেন, জ্বরের প্রকোপ এই মুহুর্তে খানিকটা হলেও আগের চেয়ে কমতে শুরু করেছে৷ যদিও বাস্তব চিত্র অন্য কথাই বলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy