নির্যাতিত: বড়কাশীপুরের আক্রান্ত দম্পতিকে উদ্ধার। নিজস্ব চিত্র
বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলে ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ইংরেজবাজার থানার মহদিপুরের হঠাৎপাড়ার গ্রামের ঘটনায়। আক্রান্ত দম্পতি ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যালে। সোমবার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আক্রান্ত দম্পতি থানায় ছেলে এবং তাঁর স্ত্রীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হঠাৎপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব তিলক মণ্ডল। তিনি নিজের জমিতেই চাষবাস করতেন। তাঁর একমাত্র ছেলে লক্ষ্মণ এখন সেই জমিতে চাষ করেন। জানা গিয়েছে, তিলকবাবু ও তাঁর স্ত্রী মেনকাদেবী ছেলে-বৌমার সঙ্গে এক বাড়িতে থাকলেও পৃথক ভাবে রান্না করে খাওয়াদাওয়া করেন। অভিযোগ, ওই বৃদ্ধ দম্পতির উপরে দীর্ঘ দিন ধরে অত্যাচার চালাচ্ছেন লক্ষ্মণ ও তাঁর স্ত্রী কবিতা। এমনকি, তাঁদের মারধরও করা হত বলে অভিযোগ।
ওই দিন সন্ধে ছ’টা নাগাদ কবিতার ঘরের সামনে আবর্জনা পড়ে থাকে। শাশুড়ি আবর্জনা ফেলে রেখেছেন বলে কবিতা অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে দেন বলে অভিযোগ। তিলকবাবু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও গালাগাল করা হয়। তার পরেই লক্ষণ বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করেন। মাথা ফেটে যায় তিলকবাবুর। গ্রামবাসীরা ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁরাই আক্রান্ত দম্পতিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান মালদহ মেডিক্যালে। এ দিন সকালে তিলকবাবু ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায়ই সামান্য কারণে লক্ষ্মণ তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মাকে গালাগালি এবং মারধর করেন। গোলমাল মেটাতে গ্রামবাসীরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেন। অভিযোগ, তার পরেও হুঁশ ফেরেনি লক্ষ্মণ ও কবিতার। তিলক বাবু বলেন, “আমার জমি, পুকুরেই চাষবাস করে সংসার চালায় ছেলে। অথচ আমাদের উপরেই অত্যাচার চালানো হয়। এ দিন বাঁশ দিয়ে মারধর করে। আমরা চাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।” ইংরেজবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তেরা ঘটনার পর থেকে ফেরার রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy